রুশ সেনা ইউক্রেনে হামলা করার পর ৫ দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। অসংখ্য সাধারণ নাগরিক এবং দুই দেশেরই অসংখ্য সৈন্য-সামন্ত প্রাণ হারিয়েছেন। যুদ্ধবিরতি নিয়ে গতকাল অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছিল রাশিয়া এবং ইউক্রেন(Russia-Ukraine)। প্রথমেই ইউক্রেন আলোচনা স্থলের জন্য রাজি না হলেও পরবর্তীকালে মুখোমুখি বৈঠকে বসেন পুতিন-জেলেনস্কি(Putin-Zelenskyy)। কিন্তু সে আলোচনায় কোন সুনির্দিষ্ট সমাধান যে হয়নি তার প্রমাণ পাওয়া গেল আরো একবার।

অনুমান করা হয়েছিল আলোচনার পরে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। কিন্তু আলোচনা শেষ হওয়ার পরেই রাশিয়া কিয়েভ(Kyiv) ও খারকিভ(Kharkiv)-এ তাদের হামলা আরো জোরদার করে। এ বিষয়ে রুশ প্রতিনিধিদলের প্রধান ভ্লাদিমির মেডিনস্কি(Vladimir Medinsky) বলেন,”আমরা বৈঠকে আলোচ্যসূচির প্রতিটি দিক দেখেছি। কিছু কিছু সময়ে উভয়ই পারস্পরিক অবস্থান দেখিয়েছে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে আমরা সংলাপের প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছি।”

বৈঠকের মাঝে ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রো(Emmanuel Macron) কে পুতিন জানান, ইউক্রেনীয় সেনাদের নিরস্ত্রীকরণ করলে এবং ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি প্রদান করলে তবেই তিনি জেলেনস্কির দাবি মেনে নেবেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন(Russia-Ukraine) ইস্যুতে দ্বিতীয় দফা বৈঠকের কথা নিশ্চিত। সূত্রের খবর প্রথম বৈঠকে যে বিষয়গুলি ঘটেছে সেগুলো এই দুই দেশ নিজেদের উপদেষ্টাদের কাছে নিয়ে যাবে এবং দ্বিতীয় দফার বৈঠকে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে। জানা যাচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেনের(Russia-Ukraine) পরবর্তী বৈঠক বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তে অনুষ্ঠিত হবে।