রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলি কী পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) মডেলে চলবে? এই প্রশ্ন ঘুরছে কলকাতা থেকে জেলায়।
কারণ এই সংক্রান্ত একটি খসড়া ছড়িয়ে পড়েছে শহরে। তাতেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
করোনাভাইরাসের জেরে প্রায় দু বছর সরকারি স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ ছিল। তাই লোকসানে চলেছে স্কুল। এবার এই খসড়া ছড়িয়ে পড়তেই উঠল প্রশ্ন।
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এই ছড়িয়ে পড়া খসড়ায় কোনও সরকারি নির্দেশিকার নম্বর বা নির্দেশিকা প্রকাশের দিনক্ষণের উল্লেখ এবং কারও সই নেই। ফলে এই খসড়ার কোনও সত্যতাও নেই।
এমনকি এটা ঠিক নয় বলে জানানো হয়েছে। এটা জানাতে দেরি হওয়ায় অনেকেই বিষয়টিকে সত্য বলে মনে করতে শুরু করেছিলেন।
ওই খসড়ায় উল্লেখ রয়েছে, সরকার জমি-বাড়ি ও অন্যান্য পরিকাঠামো দেবে। বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা পিপিপি (PPP) মডেলে বাংলা অথবা ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল গড়ে তুলবেন।
আর তারাই ঠিক করবে, কোন বোর্ডের অধীনে স্কুল হবে এবং তার ‘ফি’ কত হবে। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগও তারাই করবে। যা দেখে ভয় পেয়ে যান অভিভাবকদের একাংশ।
এই বিষয়ে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতরের একটি অভ্যন্তরীণ নোট চালাচালি চলছে।
সেখানে সকলের মত নেওয়া হচ্ছে। তার মূল কথাটা হচ্ছে, শিক্ষাকে বেসরকারিকরণ করে দেওয়া। ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা।’
অন্যান্য রাজনৈতিক দলও এই নিয়ে রে রে করে নেমে পড়েছেন। কিন্তু অবশেষে জানা গেল, বিষয়টি ঠিক নয়।