নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বারংবার। এর নজিরও পাওয়া গেছে একাধিকবার। কিছুদিন আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ-ডি (SSC Group-D) নিয়োগের ‘ভুয়ো’ মামলায় উঠে এসেছিল নয়া মোড়। ‘ভুয়ো’ নিয়োগ বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভুয়ো’ নিয়োগে খরচ হওয়া সরকারের টাকা পুনরুদ্ধারের নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

আর সেইমতো এসএসসি-র গ্রুপ ডি (SSC Group-D) নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি গিয়েছে ৫৭৩ জনের৷ সেই বেআইনি নিয়োগ বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে বিশেষ অনুসন্ধান কমিটি। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে করা হয়েছে মামলা৷

বিচারবিভাগীয় কমিটির দাবি, তাদের সময় বৃদ্ধি করা হোক। কারণ, এই মামলায় তাদের ১৫ থেকে ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। করোনা বিধি মেনে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় প্রয়োজন হবে৷ তাদের আবেদনের ভিত্তিতে গ্রুপ-ডি (SSC Group-D) নিয়োগ দুর্নীতি অনুসন্ধানের জন্য আরও চার মাস সময় মঞ্জুর করে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ডিভিশন বেঞ্চ।

সূত্রের খবর, এদিন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, বিচারবিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটির সদস্য হয়ে কীভাবে ডিভিশন বেঞ্চে আইনজীবী হিসেবে সময় বাড়ানোর আবেদন করা হচ্ছে? কমিটির নিরপেক্ষতা কোথায়? আজই দুপুর ১২ টায় সিঙ্গেল বেঞ্চে শুনানি হবে। সেখানে অনুসন্ধান কমিটিকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কীভাবে কমিটি এই রিপোর্ট দেবে?

৫৭৩ জনের চাকরি বাতিল মামলায় রাজ্যের আপিল গ্রহণ করে বিচারপতি হরিশ ট্যাণ্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। শুনানি আগামীকাল। পাশাপাশি আজ কমিটিকে রিপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে প্যানেলের সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর নিয়োগ নিয়ে যে দূর্নীতি হয়েছে তার অনুসন্ধানে কমিটি যে আরও চার মাস সময় চেয়েছিল তাতেও সন্মতি জানায় ডিভিশন বেঞ্চ।