স্কুল (School) খোলার দাবিতে কলকাতার ৩ জায়গায় বিক্ষোভ করেছে ছাত্র পরিষদের (Chhatra Parishad)। বিকাশ ভবনের (Bikash Bhawan) সামনে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।
বিক্ষোভ দেখানো হয় করুণাময়ী মোড় (Korunamoyee), সিটি সেন্টারের (City Centre) সামনে। শুধু ছাত্র পরিষদই (Chhatra Parishad) নয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে স্কুল খোলার দাবিতে সোমবার সারাদিন বিক্ষোভ দেখায় একাধিক ছাত্র সংগঠন।
আন্দোলনে নামে এবিভিপি (ABVP) থেকে এসএফআই (SFI) উভয়েই।
সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে স্কুল খোলার দাবিতে ক্ষোভ দেখায় এবিভিপি।
বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও শুরু হয়। কোথাও আবার পাল্টা লাঠিচার্জও করে পুলিশ।
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে SFI-এর বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে সোমবার উত্তেজনা ছড়ায় জেলায় জেলায়।
এই বিক্ষোভ সামলানোর পদ্ধতির বিষয়ে শিক্ষাবিদ দেবাশিস সরকার বলেন,
‘এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়। ছাত্ররা চায় স্কুল কলেজে আসতে।
সেই দাবি নিয়ে তারা আন্দোলন করছে। এই আন্দোলন সামলাতে গিয়ে পুলিশ ছাত্রদের আঘাত করুক এ কখনোই কাম্য নয়।’
এদিকে চাপাডালি মোড়ে যশোর রোড (Jessore Road) অবরোধ করে SFI।
সূত্রের খবর, সেখানে সাতজনকে আটক করে পুলিশ।
sfi-এর অবরোধ ওখান ওঠার পর, বারাসাত থানায় (Barasat Police Station) হাজির হন বিক্ষোভকারীরা।
সারাদিনের বিক্ষোভের পর সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী আগামী ৩রা ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল কলেজ খুলবে বলে ঘোষণা করেন।
এই সিদ্ধান্তে খুশি গোটা ছাত্রসমাজ। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর প্রতীক উর রহমান বলেন,
‘আমাদের শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন এসএফআই-এর কথার জবাব দেব না।
সেদিন আমরা দাঁতে দাঁত চেপে শপথ নিয়েছিলাম। আজ প্রমাণ হয়েছে আমরা আমাদের জায়গায় ঠিক আছে। ওনার মেরুদন্ড ভেঙেছে।’
এই জয়ের পর সৃজন ভট্টাচার্যের ফেসবুক পোস্ট দেখা যায়, ‘SFI ঝুকেগা নেহি’।