দেশ জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে কোভিড (Covid 19) আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিপর্যস্ত দেশ। ইতিমধ্যে রাজ্যের সমস্ত স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমনকি এও জানানো হয়েছে যে সমস্ত পরীক্ষা হবে অনলাইনে। কিন্তু জিএনএম নার্সিং স্টুডেন্টদের (GNM Nursing) পরীক্ষা নিয়ে কোনোরূপ মন্তব্য প্রকাশ করেনি সরকার। তাই এবার সরকারের কাছে লিখিত আবেদন জানালো নার্সিং স্টুডেন্টরা।
করোনার থাবা ক্রমাগত চওড়া হচ্ছে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবাতে। কলকাতার একাধিক সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে নার্সরা গণহারে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এরই মাঝে রাজ্যে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এরই মাঝে নার্সিং স্টুডেন্টদের পরীক্ষা নিয়ে কোনো নির্দেশিকা প্রকাশ করেনি সরকার।
উল্লেখ্য, আগামী ১৭ই জানুয়ারি, ২০২২ এ পরীক্ষা হবার কথা থাকলেও করোনার বাড়বাড়ন্তে ধরাশায়ী জিএনএম (GNM Nursing) নার্সিং স্টুডেন্টরা। তারা জানিয়েছে, তাদের মধ্যে বহু পরীক্ষার্থী করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে হোস্টেলে রয়েছে। অনেকেরই শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। ক্রমাগত বাড়ছে উদ্বেগ। এই মুহূর্তে তারা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যে GNM নার্সিং স্টুডেন্টদের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের পাশাপাশি তারা লিখিত আবেদন ও জানিয়েছেন। এই মুহূর্তে পরীক্ষার্থীরা এইভাবে পরীক্ষা দিলে করোনা আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে। তাই সরকার যেনো তাদের এই সমস্যার দিকে দৃষ্টিপাত করে এমনই আবেদন তাদের। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই যেনো পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়, এমনটাই চাইছেন সবাই।
আরও পড়ুন : Swasthya Sathi Card : দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো বেসরকারি নার্সিংহোমের উপর
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ। কার্যত প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ। এরই মাঝে এরকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। আগামী ১৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত জারি রয়েছে কার্ফু। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবায় মিলবে ছাড়। জেলায় জেলায় সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। মাস্ক না পড়লে চলছে ধরপাকড়। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।