হরিদ্বারের ‘ধর্মসভা’য় বিদ্বেশমূলক মন্তব্যকে হাতিয়ার আন্তর্জাতিকস্তরে ভারতকে(India) কোণঠাসা করার মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে প্রকিস্তান।
এই কাজে নেমেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
তিনি দাবি করেছেন, এই দেশের শাসক দলের নেতাদের উপস্থিতিতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিশানা করে প্রবোধানন্দ গিরি যা বলেছেন তা আঞ্চলিক শান্তি রক্ষায় বড় বাধা।ভারতে সংখ্যালঘুরা বিপন্ন।
এই অভিযোগ আগেও তুলেছিলেন ইমরান খান। এবার হরিদ্বারের এই ঘটনাকে তুলে ধরে তাঁর অভইযোগ,
ভারতে সংখ্যালঘুদের চরমপন্থীদের দিয়ে নিশানা করা হচ্ছে।
টুইটে ইমরান লিখেছেন যে, ‘ভারতে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে ২০ লক্ষ মুসলিম সম্প্রদায়কে নিঃশেষ করার ডাক দিয়েছে চরমপন্থী এক হিন্দু সংগঠন।’
গত ১৭ থেকে ১৯শে ডিসেম্বর হরিদ্বারে একটি রুদ্ধদ্বার ধর্মসংসদের আয়োজন করা হয়।
যার মূল আয়োজক ছিলেন বিতর্কিত ধর্মগুরু যতি নরসিংহনন্দ।
সেই বিতর্কিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু রক্ষা সেনার প্রবোধানন্দ গিরি, বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী উদিতা ত্যাগী এবং বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়।
ওই সভা থেকে ভাইরাল একটি ক্লিপে দেখা যায় প্রবোধানন্দ গিরি বলছেন,
‘মায়ানমারের মতো আমাদের পুলিশ, সেনা, রাজনীতিবিদ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সমস্ত মানুষের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে হবে।
ভারতে সাফাই অভিযান চালাতে হবে।’
অপর একটি ক্লিপে পূজা শাকুন পান্ডে বলেন, ‘যদি ওদের সমূলে ধ্বংস করতে চান,
তাহলে ওদের হত্যা করা প্রয়োজন। আমরা এমন ১০০ জন হিন্দু যোদ্ধাকে চাই,
যারা ওদের ২০ লাখ লোককে হত্যা করবে।’ আরও বেশ কয়েকজন ধর্মগুরু উত্তর প্রদেশের ওই সমাবেশ থেকে
সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিভিন্নরকম উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন বলে ইমরান খানের বক্তব্য।