দেশে তথা রাজ্যে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ(Corona)। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের উচিত ছিল এক দফায় এক দিনে পুরসভা নির্বাচন করানো।
মঙ্গলবার খড়্গপুরে ‘চায়ে পে চর্চা’-য় যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করলেন বিজেপি-র সর্বভারতী সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে বসে তিনি বলেন,
‘‘মানুষের জীবনের মূল্য যদি দিতে হয় ভোট দিতে গিয়ে তা হলে সরকারকে ভেবেচিন্তে কড়াকড়ি ভাবে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যখন বিধানসভা চলছিল তখন কিন্তু এখানে করোনা(Corona) বাড়েনি।
যেহেতু তৃণমূলের হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল তাই সবকিছু বন্ধ করো বন্ধ করো রব তুলেছিল। তখন করোনা বাড়ছিল মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে; বাংলায় না।
সেখানে তো নির্বাচন ছিল না। আজকে ওরা মনে করছে জিতে যাবে তাই যে কোনও মূল্যে নির্বাচন করতে প্রস্তুত।
যদি নির্বাচন করাতেই হয় তাহলে তিনটি দফা হয়ে গেলো কেন? কেন একসঙ্গে পুরভোট করলেন না। কেন কলকাতার সঙ্গে করলেন না, উপনির্বাচনের সঙ্গে করলেন না।
এত দিনে তো মিটেই যেত তাহলে সব।’’ দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন,
‘‘যখন করোনা(Corona) গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী তখন শেষ তিন দফায় বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। সেগুলি একসঙ্গে করানোর জন্য বলা হয়েছিল।
তখন মানা হয়নি। সেই সময় করোনা পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণ দায়ী ছিল কেন্দ্র।
কিন্তু সেই দায় তখন কেউ নেয়নি। নির্ঘণ্ট মেনে ভোট হয়েছে।
এখন নির্দিষ্ট চারটি পুরসভায় ভোট বাকি রয়েছে। সেখানে নির্বাচন কমিশন(Election commission) যে গাইডলাইন দিয়েছে সেই মতোই কাজ হচ্ছে।
হেরে যাবে বলে বিজেপি এখন এ সব বলছে।’’ এরপর স্কুল বদ্ধ করে দেওয়া প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘বিধিনিষেধ কোথায় কার্যকরী হচ্ছে?
এক দিকে স্কুল বন্ধ অন্য দিকে পানশালা খোলা আছে। বন্ধ যদি করতে হয় সার্বিক ভাবে সব বন্ধ করতে হবে।
এখানে বন্ধও হয়নি, নিয়ন্ত্রণও হয়নি।’’ এর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেন,
‘‘স্কুল খুলে যাওয়ার পর রাজ্যগুলিতে প্রচুর স্টুডেন্ট আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখনও টিকা দেওয়া যায়নি পড়ুয়াদের।
তাই পড়ুয়াদের নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই সরকারকে দেখতে হয়। তাই স্কুল বন্ধ থাকছে।
বিভ্রান্তিকর কথা বলছেন দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। স্পা, সেলুন তো সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।’’