চলতি মাসের দিন কয়েক আগেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্মের অসহযোগিতার কথা বলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu) আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে।
ব্রাত্য বসু(Bratya Basu) বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করার ভাবনাচিন্তা শুরু করতে হবে। এই বিষয় নিয়ে আইনজ্ঞদের পরামর্শও নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রবিবার সকালে দার্জিলিং যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়ে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন রাজ্যপাল। সেখানেই শিক্ষামন্ত্রীর করা মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে।
জবাবে জগদীপ ধনখড় বলেন, ‘‘শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করা যায় কিনা দেখবেন।
তো উনি ওঁকে রাজ্যপালই করে দিন না!’’
পাল্টা তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস রায় বলেন, ‘‘ধনখড়কেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী করে দেওয়া হোক, তাহলেই বোধহয় তিনি সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন।’’
সম্প্রতি ব্রাত্য বসু(Bratya Basu) বলেছিলেন, ‘‘তিনি দিনের পর দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের ফাইল ফেলে রাখেন।
তিনি আমাদের কাজে বিন্দুমাত্র সহযোগিতার মনোভাব যদি না দেখান,
তা হলে কেরলের রাজ্যপাল যেমন বলেছেন, প্রাদেশিক স্তরে আমরাও সেই কাজ করতে বাধ্য হব।
আমরা সংবিধান খতিয়ে দেখব, দরকারে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেব।
আমরা আইনজীবীদের কাছে জানতে চাইব, অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য পদে আমরা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসতে পারি কি না।’’
রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের বিরোধ নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি রাজ্যপাল রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্যকে ডেকে পাঠান।
তা নিয়ে নতুন করে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাজ্যপাল একের পর এক টুইটে দাবি করতে থাকেন,
তাঁর উপর্যুপরি ডাকেও সাড়া দিচ্ছেন না রাজ্যের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যেরা।
রাজ্যের শাসকের মদতেই এমনটা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন পদাধিকার বলে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিক বৈঠকে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয় ব্রাত্য বসুর(Bratya Basu) কাছে।
ব্রাত্য বসুই এ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তখনই ব্রাত্য বলেছিলেন, অন্তর্বর্তীকালীন আচার্য হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানো যায় কি না, ভেবে দেখছেন তাঁরা।