আসন সংখ্যা বাড়েনি একটুও। কলকাতা পুরভোটে দুটি আসনে জয় এসেছে বামেদের(CPIM)।

কিন্তু ২০১৯ এবং ২০২১ সালে পরপর শূন্যের ধাক্কা ঝেড়ে ফেলে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সেই ‘দুইয়েই’ বামেরা(CPIM) আশার আলো দেখছে। সেইসঙ্গে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখেও বিজেপিকে ছাপিয়ে দু’নম্বরে উঠে এসেছে বামেরা।

কিন্তু কোন জাদুবলে এই ‘সাফল্য’ মিলল বামেদের(CPIM)! কলকাতা শহুরের সব অঞ্চলেই বিজেপির প্রভাব কম: কলকাতায় জিত বরাবরই শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপির কাছে।

তীব্র নরেন্দ্র মোদী ঝড়েও কলকাতায় আসনও জিততে পারেনি গেরুয়া শিবির। গত বিধানসভা নির্বাচনেও যেখানে বিজেপি পুরো রাজ্যে ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি(BJP),

সেখানে কলকাতায় তা মাত্র ২৯ শতাংশের মতো ছিল। সেই বিজেপি-বিরোধী মনোভাবের ফায়দা এবার তুলেছে বামেরা।

এবার বিজেপির ভোটে থাবা বসিয়েছে বাম: গত লোকসভা নির্বাচনে বামের ভোটব্যাঙ্কে ধস নেমেছিল। সেই ভোট বিজেপিতে চলে গিয়েছিল।

বিধানসভা নির্বাচনে তাতে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। এবার পুরভোটে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাল বাম।

প্রাথমিকভাবে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। গত বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতায় ১০.১৬ শতাংশের মতো ভোট পেয়েছিল বামেরা।

মাস সাতেকের ব্যবধানে তা এক শতাংশের মতো বেড়েছে। তাতে একটু আশার আলো দেখছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের(Alimuddin Street) লাল পার্টি অফিসের নেতারা।

বিধানসভা ভোটের আগেও করোনাভাইরাস আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রেড ভলান্টিয়ার্সরা।

কিন্তু বিধানসভা ভোটে সেই ঘটনার তেমন প্রভাব পড়েনি।

সেই ভোটের শেষ লগ্নে এবং পরবর্তীতে যখন করোনা মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল, তখন অনেকেরই ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বামের তরুণ কর্মী তথা রেড ভলান্টিয়ার্সরা(Red Volunteers)।

কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েও লোকের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিলেন অক্সিজেন সিলিন্ডার, কাউকে ভরতি করে দিয়েছিলেন হাসপাতালে।

রাজনৈতিক মহলের মতে, যেভাবে তাঁরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন,

পুরভোটে বেশ কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। বিশেষত যে ভোট মূলত নাগরিক পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি নির্ভর করে।