রবিবার কলকাতা পুরনিগমের ১৬টি বোরের ১৪৪টি ওয়ার্ডে চলছে কলকাতাবাসীর ভোটদান(Corporation vote)। করোনা পরিস্থিতির কারণে পুরভোটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার প্রায় দেড় বছর পর পৌরভোট হচ্ছে কলকাতায়।
ফলে একুশের বিধানসভা ভোটের পর এই ভোট ঘিরে উত্তাপ চরমে।এই ভোটের গণনা হবে ২১ ডিসেম্বর।
বিধানসভা ভোটের মত কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে কলকাতা পুরনিগমের ভোটও(Corporation vote) হোক, এমনটাই চেয়েছিল বিরোধিরা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে সেই আবেদনের নিষ্পত্তি হয়নি।
কিন্তু শেষ অবধি এই ভোটে থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। হাইকোর্ট ভোটের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের উপরই আস্থা রেখেছে।
ফলে তিলোত্তমায় আজ শান্তিপূর্ণ ভোট(Corporation vote) করানোই চ্যালেঞ্জ পুলিশ-প্রশাসনের। আটচল্লিশ ঘন্টা আগে থেকেই তৎপর লালবাজার।
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্যে রবিবার রাস্তায় রয়েছে ২৩ হাজার ৫০০ সশস্ত্র বাহিনী।
আদালতের নির্দেশে সব বুথ, স্ট্রং রুম এবং গণনাকেন্দ্রে সিসিটিভি-র আওতাধীন।
এরপরেও এ দিন ভোট শুরুর আগেই শহরের বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে।
কোথাও বিরোধী এজেন্টদের(agent) বসতে বাধা দেওয়া, কোথাউ আবার বিরোধী এজেন্টদের মারধরেরও অভিযোগ উঠছে।
স্বাভাবিক ভাবেই সব ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে তৃণমূলকে।
পরিসংখ্যানের বিচারে দেখতে গেলে, ২০১৫ সালে বিজেপি কলকাতা পুরভোটে সাতটি ওয়ার্ডে জয়লাভ করেছিল।
পদ্ম পাপড়ি মেলেছিল ৭, ২২, ২৩, ৪২, ৭০, ৮৬, এবং ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডে। পরে ৭ এবং ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি।
কিন্তু, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে বেশ অনেকটাই শক্তিক্ষয় হয় বিজেপির(BJP)।
মাত্র ১২টি আসনে এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু, ভবানীপুর উপনির্বাচনের পর আরও ২টি আসন কমে গিয়ে ১০টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির।
পাশাপাশি কতটা টেক্কা দিতে সক্ষম বাম কংগ্রেস সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।