হুগলির বিজেপি সাংসদ ‘নিখোঁজ’, এমনই পোস্টার পড়ল পাণ্ডুয়ায়(Pandua)। পাণ্ডুয়া বিডিও অফিস, পঞ্চায়েত অফিসে ও তেলিপাড়া মোড়-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বুধবার সকালে এইরূপ একটি পোস্টার লাগানো দেখা যায়।

তবে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছেন সেটা এখনো জানা যায়নি। কারণ, পোস্টারের নীচে স্বাভাবিক ভাবেই কারও নাম লেখা নেই।

পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘নিখোঁজ সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সন্ধান চাই।’ এমন পোস্টারের পরে সত্যিই দীর্ঘদিন নিজের এলাকায় অনুপস্থিত লকেটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,

বিজেপির তরফে এখন উত্তরাখণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্বে তিনি রয়েছেন তাই তিনি সেখানেই রয়েছেন।

এই প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই ধরনের পোস্টারের পিছনে অবশ্যই রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে।

সাংসদের বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমার সঙ্গে আমার দলের স্থানীয় কর্মী ও রাজ্য নেতাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।

সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের জন্যই আমি দিল্লিতে ছিলাম। এখন দলের কাজের দায়িত্ব পেয়ে উত্তরাখণ্ডে রয়েছি।

উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনে আমাকে সহকারী পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’

নিখোঁজের পোস্টার লাগানোর পিছনে হাত রয়েছে তৃণমূলের, এমনটাই দাবী করছে বিজেপি।

তৃণমূল এই অভিযোগ স্বাভাবিক ভাবেই অস্বীকার করেছে পুরোপুরি।

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে হুগলি লোকসভায় তৃণমূলের রত্না দে নাগকে পরাজিত করে সাংসদ নির্বাচিত হন লকেট চট্টোপাধ্যায়।

হুগলি লোকসভার সাতটি বিধানসভা এলাকার মধ্যে পাণ্ডুয়া(Pandua) একটি।

সেই পাণ্ডুয়া(Pandua) থেকে এ বার বিধানসভায় নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হয়েছেন রত্না দে নাগ।

অপর দিকে, একুশের ভোটে চুঁচুড়া বিধানসভা আসন থেকে লড়াই করে তৃণমূলের অসিত মজুমদারের(Asit Majumder) কাছে পরাজিত হন লকেট।

এই হারের পর থেকেই তাঁকে লোকসভা এলাকায় দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তৃণমলের।

আরও পড়ুন – কলকাতায় মহিলাদের সুরক্ষায় নামছে ‘শের’