ডাকাতির (Crime) উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়ার সময় ১০ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করলো মারিশদা থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার। অভিযুক্তরা কয়েকটি ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে এমনটাই জানতে পেরেছে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র সহ একটি চোরাই পিকআপ ভ্যান গাড়িও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।
অভিযুক্তরা হল কাঁথি থানার দারুয়া এলাকায় শেখ রমজাম, শেখ রাজ , শেখ বেলাল, শেখ জুয়াস , শেখ রাকিব , শেখ মালেক, মারিশদা থানার ফুলেশ্বর গ্রামের শেখ সেলিম হোসেন, শেখ সিরাজুল, সৈয়দ সেনেশা আলম ও শেখ মুকলেস।
আরও পড়ুন : Congress: সোনিয়ার বৈঠকে নেই ঘাসফুল শিবির
জানাগেছে, শীতের মরসুম শুরু হয়েছে। এরপর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এলাকায় চুরি ছিনতাই ডাকাতির দাপট বেড়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মারিশদা মশাগাঁ এলাকা থেকে ১০ জন ডাকাতকে পাকড়াও করে। মারিশদা থানার ওসি রাজু কুণ্ডু নেতৃত্বের বিশাল পুলিশবাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড় হওয়ার অভিযোগে ১০ জনকে পাকড়াও করে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে।
পুলিশি প্রাথমিক তদন্তে অনুমান গত ১১ ই ডিসেম্বর রাতে মারিশদা বাজারে ” আরতী জুয়েলার্স “নামে একটি সোনার দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দেওয়াল ভেঙ্গে নগদ টাকা ও সোনার গয়না প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ডাকাতি হয় বলে অভিযোগ। এরপর দোকানের মালিক রতন কামিলা মারিশদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সম্প্রতি সান্তনু খুটিয়া নামের একটি স্টেশনারি দোকানে ঝড় দুর্যোগের রাতে সেই সময় ডাকাতি করেছে এই ডাকাতদল। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই জোরদার তদন্ত শুরু করে মারিশদা থানার পুলিশ। দুষ্কৃতিকারীদের ধরতে শুধু মারিশদা নয় জেলায় একাধিক এলাকায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।