বাবার চিকিৎসার(Medical) টাকা জোগাড় করতে বাবাকে ভ্যানে চাপিয়ে রাস্তায় রাস্তায় সাহায্য চেয়ে বেড়াতে দেখা গেল মাত্র এগারো বছরের এক কিশোরীকে।

শনিবার এমন চোখে জল আনার মত দৃশ্য দেখে চমকে ওঠেন উলুবেড়িয়ায় মানুষজন।

সেই খবরসংবাদ মাধ্যমে প্রচারের পরই হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা হল(Medical) বহু দিন ধরে শয্যাশায়ী প্রশান্ত মণ্ডলের।

অবশেষে মুখে হাসি ফুটল হাওড়ার রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দা ঝিলিক মণ্ডলের।

এই বিষয়ে মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, অসুস্থ সুশান্ত মণ্ডল উলুবেড়িয়া ১ এর একজন একজন মানবিক পেনশন প্রাপক।

তাঁর স্ত্রী শ্যমলী মণ্ডলের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা শ্যামলী মন্ডল পান কিনা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে, তিনি যদি কাস্ট সার্টিফিকেটের দাবিদার হন তাহলে তাকে তার জন্য ব্যবস্থা করা হবে যাতে তিনি মাসিক হাজার টাকা ভাতা পেতে পারেন।

পাশাপাশি, ১১ বছরের ঝিলিককে যথাসম্ভব সাহায্য(Medical) করার আশ্বাস দিয়েছিলেন অভিনেতা-সাংসদ দেব।

এই ঘটনাটি নিয়ে দেব বলেন, অত্যন্ত বেদনাদায়ক শনিবারের এই ঘটনা।

একটা ১১ বছরের বাচ্চা মেয়ে বাবার চিকিৎসার জন্য তাকে ভ্যানে চাপিয়ে লোকের কাছে সাহায্য চেয়ে বেড়াচ্ছে।

কেবল সরকার, শশী পাঁজাদি বা দেব হলে হবে না।

সবাইকে একসঙ্গে এই ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য কাজ করতে হবে।

আমরা আমাদের পক্ষে যতদূর সম্ভব অবশ্যই করব।

এই ঘটনা ঘটেছে জানার পরই উলুবেড়িয়ার(Uluberia) রামচন্দ্রপুরে যান বিডিও সহ অন্যান্য স্থানীয় সরকারি আধিকারিকরা।

অসুস্থ ওই ব্যক্তি সুশান্ত মণ্ডলের(Sushanta Mondal) পরিবার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই তাদের সাহায্য করতে চেয়ে একাধিক ফোন এসেছে।

তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালেও ভর্তির ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।