গতকাল ইতিমধ্যেই মহামেডান কে হারিয়ে “রিয়াল কাশ্মীর” এবং জর্জ টেলিগ্রাফ কে হারিয়ে “শ্রীনিধি ডেকান এফ সি” পৌঁছে গিয়েছিল ভারতের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট “আইএফএ শিল্ড” এর সেমিফাইনালে। (Football)

আজ শিল্ড এর বাকি দুই “কোয়ার্টার ফাইনাল” ম্যাচে একদিকে “এরিয়ান ক্লাব” মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা লীগের রানার আপ দল “রেলওয়ে এফ.সি”র এবং অন্যদিকে “গোকুলাম কেরালা এফ.সি”র বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল বাংলার আরেক প্রতিনিধি দল “ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব”।

রেলওয়ে বনাম এরিয়ান ম্যাচটিকে প্রায় একতরফা করে ৩-০ গোলে এরিয়ানকে উড়িয়ে দিয়ে আইএফএ শিল্ড এর সেমি ফাইনালে পৌঁছে যান অ্যান্টনি সোরেন-রানা চক্রবর্তীরা। “রেলওয়ে এফ.সি” দলের হয়ে মনোতোষ মাঝি একটি ও তন্ময় দাস দুটি গোল করেন। জোড়া গোলের সুবাদে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হোন রেলের সৈনিক “তন্ময় দাস”। (Football)

অন্যদিকে “ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব” বনাম “গোকুলাম কেরালা এফ.সি” মধ্যে অনুষ্ঠিত আজকের ম্যাচটিতে একাধিকবার নাটকীয় পট পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ম্যাচের প্রথমার্ধেই দীপেশ মুর্মু ও ডেভিস এর করা গোলে ২-০ এগিয়ে যায় বেগুনী জার্সিধারিরা। তারপর বিরতির ঠিক আগেই ইউনাইটেড ডিফেন্সের ভুলের সৌজন্যে ম্যাচ ২-১ করে ফেলে কেরালার ফুটবল ক্লাবটি।

এরপর দ্বিতীয়ার্ধে গোলের ব্যবধান বাড়ানোর লক্ষ্যে একের পর আক্রমণ শানালেও বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ মিস করেন দিলীপ ওরাওঁ,বাসুদেব মান্ডি রা এবং অন্যদিকে দ্বিতীয়ার্ধে গোকুলাম ফুটবলারদের ম্যাচে ফিরে আসার অদম্য জেদ অবশেষে ম্যাচের রং পাল্টে ফেলে,দ্বিতীয়ার্ধে কেরালা বাহিনী ম্যাচ ২-২ করে ফেলে।

এরপর অতিরিক্ত সময়েও স্কোরলাইন একই থাকলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে এবং অবশেষে রুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকারে “গোকুলাম কেরালা এফ.সি” ৫-৪ গোলে জিতে চলে যায় শিল্ড এর সেমি ফাইনালে। টাইব্রেকারে সেভ করে দলকে শেষ চারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বাভাবিকভাবেই “ম্যান অফ দ্য ম্যাচ” এর খেতাব ছিনিয়ে নেন গোকুলাম গোলরক্ষক “রক্ষিত ডগর”।

আজ নবাব ভট্টাচার্য্যের দল “ইউনাইটেড স্পোর্টস”ও এই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার কারণে,, ঐতিহ্যবাহী আইএফএ শিল্ডে এবছর বাংলার সম্মানরক্ষার গুরুদায়িত্ব রইল টুর্নামেন্টের শেষ চারে পৌঁছানো বাংলার একমাত্র দল “রেলওয়ে এফ.সি”র কাঁধে। সুতরাং, নকআউট পর্বে ভিন রাজ্যের কোনও দল রেলের গতি রোধ করে দিতে পারে কিনা,,নাকি সবাইকে দ্রুতগতিতে অতিক্রম করে রেল এই ঐতিহ্যবাহী শিল্ড জিতে বাংলার মান অক্ষুণ্ণ রাখে এখন সেটাই দেখার।।