দরিদ্রের সংখ্যা কম নয় ভারতে(India)। বরং ভারত এখন এক ‘চরম অসাম্যের দেশ’ও।

বুধবার ‘বিশ্ব অসাম্য রিপোর্ট’ জানাল, ভারতের(India) নীচের সারির অর্ধেক মানুষের হাতে দেশের সম্পদের প্রায় কিছুই নেই। অথচ ধনীরা অত্যন্ত ধনী এবং ক্রমশ আরও ধনী হয়ে চলেছেন।

২০২১-এ ভারতের(India) মোট আয়ের পাঁচ ভাগের এক ভাগ পুরোটাই গিয়েছে দেশের উপরের সারির এক শতাংশ মানুষের হাতে। অথচ নিচু তলার ৫০ শতাংশ মানুষকে দেশের মোট আয়ের মাত্র ১৩ শতাংশ নিয়েই কোনোমতে দিন কাটাতে হচ্ছে।

প্যারিস স্কুল অব ইকনমিকস—এ অবস্থিত ‘ওয়র্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাব’-এর ভিত্তিতে তৈরি এই রিপোর্টে সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন ফ্রান্সের অর্থনীতিবিদ টমাস পিকেটি।

সেই রিপোর্টের মুখবন্ধে নোবেলজয়ী দুই অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhijit Binayak Bandyopadhyay) ও এস্থার ডুফলো(Esther Duflo) লিখেছেন,

বিশ্বের যেসব দেশে অসাম্য চরমে, ভারত এখন তাদের মধ্যে পড়ছে।

আরও পড়ুন – পুরভোটে নেই কেন্দ্রীয় বাহিনী, প্রশ্নের মুখে কমিশন

অর্থনীতিবিদেরা এই রিপোর্টে লিখেছেন, কোভিড-সঙ্কটে(Covid situation) গোটা বিশ্ব জুড়েই ‘বিলিয়নেয়ার’ বা কোটিপতিদের সম্পদের পরিমাণ আরও বেড়ে গিয়েছে নানা উপায়ে।

বিশ্বের মাত্র ২,৭৫০ জন বিলিয়নেয়ারের হাতে এখন গোটা পৃথিবীর ৩.৫ শতাংশ সম্পদই গচ্ছিত রয়েছে।

যেখানে এই রিপোর্ট অনুযায়ী,১৯৯৫(1995) সালে এঁদের হাতে বিশ্বের ১ শতাংশ সম্পদ ছিল।এই কোভিডের সময় ধনী ব্যক্তিরা আরও ফুলেফেঁপে উঠেছেন।

আর নীচের সারির অর্ধেক মানুষের কাছে এই ধনীদের তুলনায় মাত্র ২ শতাংশ সম্পদ গচ্ছিত রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে।

ক্রয়ক্ষমতার তুলনার নিরিখে ভারতের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় এখন বছরে ২ লক্ষ ৪ হাজার ২০০ টাকা।

কিন্তু আয়ের দিক থেকে নীচের সারির অর্ধেক মানুষের বার্ষিক গড় আয় মাত্র ৫৩ হাজার ৬১০ টাকা।

যেখানে উপরের সারির ১০ শতাংশ মানুষের বার্ষিক আয় তার প্রায় ২০ গুণ।

অর্থাৎ সারা বছরে তারা আয় করেন প্রায় ১১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫২০ টাকা।