তার পরিবারের এর আগে কেউ রাজনীতিতে ছিলেন না। সাধারণ পরিবার থেকে এসে পঞ্জাবের প্রথম দলিত মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন চরনজিৎ সিং চান্নি। তবে হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটের মঞ্চে এইচটির পলিটিকাল এডিটর সুনেত্রা চৌধুরীর কাছে

পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন যে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে রাহুল গান্ধীকে জানিয়েছিলেন যে তিনি কোনওদিনই মুখ্যমন্ত্রী হতে চাননি। উল্লেখ্য, কংগ্রেসের অন্দরে যখন ক্যাপ্টেন বনাম সিধু সংঘাত চরমে তখনই চান্নিকে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসায় জাতীয় কংগ্রেসের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ।

দীর্ঘদিন কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচন লড়ে একটা সময়ে নির্দল বিধায়ক হয়েছিলেন চন্নি। আবার একটা সময় বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা পদেও ছিলেন চান্নি।

তবে প্রথম দলিত হিসেবে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা সেই অর্থে কোনওদিনই মাথায় আসেনিনা তাঁর, এমনটাই বলেন তিনি নিজে মুখে। এখন ব্যস্ততার কারণে মুখ্যমন্ত্রী ঘুমান গাড়িতেই।

সরকারি বাসভবনে অবশ্য এখনো যাওয়া হয়ে ওঠেনি তাঁর। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেন,

‘আমাদের আগের মুখ্যমন্ত্রী মাত্র ২ ঘণ্টা কাজ করতেন। আর আমি দিনে ২ ঘণ্টা মাত্র ঘুমোই।

তিনি খুব দেরি করে ঘুম থেকে উঠতেন। মানুষের মনে প্রশ্ন ছিল কখন তিনি ঘুমোতে যেতেন।’

জাতিভেদ প্রথা প্রসঙ্গে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতকে আমাদের জাতিভেদ প্রথার উর্ধ্বে নিয়ে যেতে হবে।

কংগ্রেস যদি একজন দলিতকে মুখ্যমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করতে পারে, তাহলে আমাদের সেই ধারণাকে অবশ্যই স্বাগত জানানো উচিত।’

নিজের উদাহরণ টেনে এনেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলেন,

‘এটি ভারতে গণতন্ত্রের প্রমাণ যে একটি সাধারণ পরিবারে জন্ম নেওয়া একজন সাধারণ নাগরিকও মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বেশ অবাকই হয়েছিলাম যখন আমাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল।

আমি ভুলে গিয়েছিলাম যে আমি আমার নেতার সাথে কথা বলছি।’

চান্নি জানান যে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হবার খবরটি শুনে তিনি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলতেই কেঁদে ফেলেছিলেন।