আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই পেশ করা হবে কেন্দ্রীয় বাজেট(Budget)। আর সেই ঘাটতি বেড়ে এবার দাঁড়াতে পারে 7% এরও বেশি।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানা গেছে যে আগামী বছরের বাজেটের(Budget) ঘাটতির পরিমাণ 6.8% এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে আগামী বছরের জন্য সেই লক্ষ্যমাত্রা সম্ভব করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে না।
বাজেট(Budget) ঘাটতি আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল, যা এখনও অবধি দেখা যাচ্ছে।
দেশের জিডিপির প্রায় 7% ঘাটতি দেখা যেতে পারে ফেব্রুয়ারির এই বাজেটের ক্ষেত্রে। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু কেন দেখা দিচ্ছে এই ঘাটতি? সরকারের খরচ বৃদ্ধি এবং দেশের একাধিক প্রাতিষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রায়ত্ত সম্পদ বিক্রি করেও নির্দিষ্ট টার্গেটে(Target) পৌঁছাতে না পারার কারণেই এই ঘাটতি দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকারের 6.8% ঘাটতির টার্গেট থেকে কেন বাড়তে পারে এই পরিমাণ? এই বিষয়ে যদিও সঠিক কোনও উত্তর এখনো মেলেনি।
অনুমান করা হচ্ছে রাজস্ব আদায় ঠিকঠাক না হওয়া ও নানা কারণের জন্য এই ঘাটতি বাড়তে পারে।
এই কারণগুলির মধ্যে বড় অংশে আছে, কোভিড মহামারি।
সম্প্রতি মোদী সরকারের তরফ থেকে দেশের একটি বড় অংশের মানুষের জন্য বিনামূল্যে(Free of cost) আরও চার মাস রেশন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷
এইরকম অজস্র খরচের জন্যেই বাজেট ঘাটতি বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷
তবে বাজেট ঘাটতির জন্য সবথেকে বড় দায় সরকারের সম্পদ বিক্রি নীতির– এমনটাই মনে করছেন বুদ্ধিজীবী মহলের অনেকে।
যে লক্ষ্যমাত্রা ও নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এই কাজে নেমেছিল তা আপাতভাবে সফল হওয়া সম্ভব নয়৷
সম্পদের বেসরকারিকরণের(privatisation) ফলে যে টাকা সরকারের হাতে আসার কথা তা আর এসে পৌঁছায়নি।
এর একটা বড় প্রভাব পড়বে বাজেটে এমনটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন – R G Kar Hospital: আরজিকর নিয়ে কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের