বেহালা পূর্বের একসময় বিধায়ক ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়(Sovan Chottopadhyay)।

সেই সূত্রে মন্ত্রিত্ব পান তিনি এবং ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের পুর-প্রতিনিধি হিসেবে কলকাতার প্রথম নাগরিক।

এরপর সংসার ও বিবাহিত স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে ছেড়ে বান্ধবী বৈশাখীর সঙ্গে থাকতে শুরু করার পরে

নিজের জায়গা বেহালাও ছেড়ে চলে যান শোভন(Sovan), ছাড়েন ঘাসফুল শিবিরও।

কিন্তু বেহালা পূর্বের দখল ধরে রাখে তৃণমূল।

একুশের ভোটে শোভনের(Sovan) জায়গা থেকেই জিতিয়ে আনে রত্নাকে।

অন্য দিকে, বিজেপি শোভনকে প্রার্থী করতেই রাজি হয়নি।

তাতে গেরুয়া রাজনীতি থেকেও ভোটের আগেই দূরে চলে যান শোভন ও বৈশাখী। এত দিন ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড তবু তাঁর নামে ছিল।

কিন্তু এ বার তৃণমূল সেটাও ছিনিয়ে নিতে বিধায়ক রত্নাকেই প্রার্থী করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।

Sovan place behala took Ratna
কলকাতা পুরভোটের প্রার্থী নির্বাচন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এদিকে, শোভন-রত্না বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা থেকে সবসময়ে মনোমালিন্যে তৃণমূল রাজনৈতিক দিক দিয়ে সমান্তরাল দূরত্ব বজায় রেখেছে।

আবার রাজনৈতিক ভাবেই সব সময় রত্নার দিকে থেকেছে তৃণমূল। গত বিধানসভা নির্বাচনে বেহালা পূর্ব তথা শোভনের আসনে রত্নাকে প্রার্থী করে সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রত্না জিতেও আসেন সেখান থেকে।

এরপর এ বার পুরসভায় ফের একই বার্তা দিল তৃণমূল।

বুঝিয়ে দিল দল এখনও রত্নার পক্ষেই রয়েছে।

২০১৮ সালে আচমকাই কলকাতার মেয়র(Mayor) পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন শোভন।

তবে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধির পদ ছাড়েননি টিনা।

মন্ত্রিত্ব ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেও ধরে রেখেছিলেন বিধায়ক পদ।

শোভন তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে রত্নাকে ওই ওয়ার্ডের সংগঠন ও কাজকর্ম দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়। রত্না তা দেখেছেনও যত্ন সহকারে।

তারই যেন পুরস্কার পেলেন এবার, পেলেন সেই ওয়ার্ডেরই ভোটের টিকিট।