দীর্ঘ সমস্যা ও কৃষকদের প্রায় এক বছরের দৃঢ় লড়াইয়ের পর অবশেষে তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন(Farmers Law) প্রত্যাহার করল কেন্দ্র৷
এক বছর ধরে কেন্দ্রের আনা তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এই লড়াই চালাচ্ছিলেন কৃষকরা।
শুক্রবার গুরুনানকের জন্মদিনের দিন কৃষি আইন(Farmers Law) প্রত্যাহারের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷
কৃষকদের এই আন্দোলন চলাকালীন কলকাতার বুকে বসে এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ‘বিদ্রোহের গান’ বেঁধেছিলেন অভিজিৎ পাল (Abhijit Paul) ও ইমন সেন (Iman Sen)।
শনিবার সেই ‘বিদ্রোহের গান’-এর মাধ্যমেই কৃষকদের জয়ের জন্য আরো একবার কুর্নিশ জানালেন তাঁরা।
তাঁদের গান শুনে উচ্ছ্বসিত হন ‘কালারফুল’ মদন মিত্র (Madan Mitra)।
‘সাহস আসলে তুচ্ছ হতে চায় না একলা মরার স্বাধীনতা বিপ্লব দেয় না’, ইমন সেনের সুরে ও কণ্ঠে অভিজিতের লেখা দিন বদলের তথা বিদ্রোহের গান।
কৃষকদের(Farmers Law) লড়াইকে সমর্থন জানিয়ে তাদের পাশে মানবিক ভাবে থাকার জন্য ও মানসিকভাবে জোড় দেওয়ার জন্যই এই গানের সৃষ্টি করেছেন শিল্পীরা।
অভিজিৎ পাল সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান,’আজ থেকে দশ মাস আগে যখন প্রথম এই গানের সূচনা হয় তখন অনেক শিল্পী এই গান শুনে আমাদের পাশে না দাঁড়ালেও সিধুদা (Sidhu) এক ডাকে চলে এসেছিলেন।
রাজনৈতিক হাজারও চোখ রাঙানিকে ভয় না পেয়ে উপেক্ষা করে রেকর্ড করা হয়েছিল এই গান।
লড়াই কোনোদিন সমাজে কেবল এক শ্রেণীর হয় না।
তাই বাংলায় থেকে এই লড়াইয়ের সাহস দেখিয়েছেন গায়ক-সুরকাররা।
এতদিন পর আজ কৃষকদের সুদিন ফিরলো লড়াইয়ের মাধ্যমে।
এই ‘বিদ্রোহের গান’এ গলা মেলাতে শনিবার উপস্থিত ছিলেন মদন মিত্র(Madan Mitra), সিধু, ইমন সেন ও অভিজিৎ পাল। গান শুনে মদন মিত্র বলেন,
“সাহস কখনো তুচ্ছ হতে চায় না,একলা মরার স্বাধীনতা বিপ্লব দেয় না’,অভিজিতের লেখা এই গান শুনে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি।
অসাধারণভাবে একটা পুরো লড়াইয়ের ছবি তুলে ধরেছে ওরা গানের মাধ্যমে।
কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মানসিক জোর জোগালো ওরা বাংলার তরফে।
সিধু, ইমন সেন ও অভিজিৎ পালকে আমার শুভেচ্ছা।
বিপ্লবের পরিভাষা এক এক জনের কাছে এক এক রকম হয়।”