বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠকে হঠাৎই এক অদ্ভুত প্রস্তাব পেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী(CM)। হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে করতে তাঁদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,
‘কাশফুলের অপচয় বন্ধ করতে কোনও কেমিক্যাল ব্যবহার করে তা দিয়ে বালিশ-বালাপোশ তৈরি করা যায় কিনা দেখুন তো। তাহলে খুব ভালো হবে।‘
পাশাপাশি, তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী(CM) হয়ে রাজ্যকে শিল্পবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যে দেউচা-পাচামি এবং অশোক নগরজুড়ে ইতিমধ্যেই বিনিয়োগের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে।
এই দুই জায়গায় বিপুল কর্মসংস্থান হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী(CM)। নবান্ন সূত্রে এমনটাই খবর রয়েছে।
এবার একদা শিল্প শহর হাওড়াকে ফের শিল্পের আখড়া করতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নিয়েই বৈঠক চলল কিছুক্ষণ।
আর এই উদ্যোগে কেউ বাধা হলে, তাঁকে বরদাস্ত করবে না প্রশাসন এমনটাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে তা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার হাওড়া(Howrah) জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্প ছাড়াও দেখা হল আরও এক রূপ।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন তাঁরই দলের বিধায়ক। ‘খবরদার, এটা কখনও করবে না।’
বৃহস্পতিবার হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরীকে(Goutam Chowdhury) এই বলেই ভর্ৎসনা করেন মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের।
এলাকায় জল জমে থাকার প্রতিবাদ দেখাতে গিয়ে রাস্তায় বসে পড়েছিলেন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় খোদ তৃণমূল বিধায়কের দল পরিচালিত পুরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধাচরণ রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছিল।
সেই ঘটনার উল্লেখ করে বৈঠকের মাঝে এই বিধায়ককে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।