জগদ্ধাত্রী পূজার অনুষ্ঠানের বস্ত্র বিতরনে এসে মোদিজীর (Narendra Modi) ভুয়সী প্রশংসার সঙ্গে দেশবাসীকে বাঁচানোর জন্য একমাত্র মোদীজির ক্রেডিট দিয়ে গেলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বললেন নিজের দেশবাসীকে টিকাকরণ পাশাপাশি অন্যান্য দেশকে টিকা দেওয়ার সঙ্গে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে একমাত্র মোদীজি পারেন।
প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় এখন জেলা জুড়ে চলছে পূজোর মরসুম আর আজ পুজোর শেষ মরসুমে জগদ্ধাত্রী পুজো।তাই জগধাত্রী পুজা কে নিয়ে জমজমাট গোটা রাজ্যের সঙ্গে জঙ্গলমহল। যদিও অন্যান্য জেলার মত এত ধুমধামে না হলেও মোটামুটি টেরাকোটা এবং থিমের উপর প্রতিমা মন্ডপ আকর্ষণীয় করে তুলে ধরেছে জঙ্গলমহল।
আরও পড়ুন : Delhi: দিল্লিতে একদিন শ্বাস নিলে তা হবে কুড়িটি সিগারেটের সমান
আর এই পুজো মণ্ডপ উদ্বোধনে ছুটে এসেছেন একের পর এক শাসক-বিরোধী নেতা-নেত্রী অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।মেদিনীপুরের এই জগদ্ধাত্রী পুজো উদ্বোধনে ছুটে এসেছেন প্রধান বিরোধী বিজেপি নেতা নেত্রীরা। গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর (Shuvendu Adhikari) পর এবার দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) মেদিনীপুর পুজো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে এলেন।
এদিন মেদিনীপুরের জগধাত্রী পুজোয় মধ্যে বস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি এবং সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদিজীর ভূয়শী প্রশংসা করলেন এই করোনা পরিস্থিতিতে।
তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন আগে একটা ভ্যাকসিন তৈরি করতে কুড়ি পঁচিশ বছর কেটে যেত কিন্তু এখন এক বছরে দু দুটো ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা হয়েছে। শুধু দেশে টিকাকরণ করা হয়েছে তা নয় আমাদের মোদীজি গোটা বিশ্বের 80 টি দেশে প্রয়োজনমতো টিকা এবং টিকার মালপত্র সরবরাহ করেছে। তাই গোটা বিশ্ব জুড়ে মোদিজীর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে।
ঠিক যেমন রামায়ণে লক্ষ্মণকে বাঁচাতে সঞ্জীবনী বুটি নিয়ে এসে জীবন বাঁচিয়েছিলেন হনুমানজি ঠিক তেমনই মোদিজি এই মহামারীর সময় টিকা পাঠিয়ে দেশবাসীকে বাঁচিয়েছেন। একমাত্র মোদীজি আছে বলেই তাই সম্ভব। তবে যদিও এদিন সঞ্জীবনী বুটির বদলে বিশল্যকরণী বুটির কথা বলে ফেলেন দিলীপ ঘোষ।
কোভিড মহামারী নিয়ে তিনি বলতে গিয়ে বলেন একমাত্র মোদীজি প্রথম বুঝেছিলেন এই কোভিড সহজে যাওয়ার নয়।এই কোভিদের পরিস্থিতি বহুদিন পর্যন্ত চলবে। তাই তিনি একতা এবং জোটবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন।কোভিদ যোদ্ধাদের সমর্থনে তিনি কাঁসী ঘণ্টা বাজাতে বলেন।
এছাড়া ও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে তিনি বহু প্রকল্প এবং সঙ্গে একাউন্টে একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেন।আজ পর্যন্ত শুনিনি এই করোনা পরিস্থিতিতে কেউ না খেয়ে মারা গিয়েছে।তিনি যেমন খাদ্য সরবরাহ করেছেন তেমনি মানুষকে একজোট করেছেন এবং দেশবাসীকে আত্মনির্ভর হতে শিখিয়েছেন। তাই আজ চীনের দ্রব্য বয়কট এর পাশাপাশি ভেষজ মাল বাজারে বিক্রি হচ্ছে এবং চাঙ্গা হয়ে উঠেছে ভারতের অর্থনীতি।