বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁকে বহিষ্কার করলেও নিজের বক্তব্যে অনড় রইলেন হাওড়া সদরের বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা(Surajit Saha)৷
‘শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মুখ খোলা’, বহিষ্কার করার মত কোনো কারণ নয় বলেও দাবি সুরজিত সাহার৷
বুধবার সন্ধেয় সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত আমাকে বহিষ্কারের কোনও খবর পাইনি৷
দলের নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে এমন কোনও কাজ করিনি যে দল আমাকে বহিষ্কার করবে৷
বহিষ্কার করতে গেলেও একটা কারণ থাকা জরুরি৷’
যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নাম উল্লেখ করে সুরজিৎকে(Surajit Saha) বহিষ্কারের চিঠিতে দল বিরোধী ও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায় উল্লেখ করা হয়েছে৷
প্রকাশ্যে আসা বহিস্কারের চিঠিতে বিজেপির হয়ে সই করেছেন দলের রাজ্য সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে পুরনো বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের আগুন যেন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে৷
সেই ক্ষোভের আগুনে আরও ঘি ঢেলে দেন শুভেন্দু নিজেই৷ পুরভোটের আগে মঙ্গলবার কলকাতা ও হাওড়া জেলাকে নিয়ে নির্বাচন কমিটি তৈরি করে বিজেপি৷
তখন একুশের বিধানসভা ভোটে হাওড়া জেলায় বিজেপির বিপর্যয়ের দায় বিজেপির কর্মীদের ওপর বর্তান শুভেন্দু৷
শুভেন্দু বলেন, বিজেপি হাওড়ায় হেরেছে কারণ, তৃণমূল মন্ত্রী অরূপ রায়ের সঙ্গে আমাদের দলের প্রার্থীদের যোগাযোগ ছিল৷
শুভেন্দুর মুখে এমন তোপ শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন হাওড়ার বিজেপি নেতারা৷
জেলার বিজেপি সভাপতি প্রকাশ্যেই শুভেন্দুকে ‘চোর’ বলে সম্বোধন করে বসেন৷
শুভেন্দুর অভিযোগ নস্যাৎ করে চ্যালেঞ্জের সুরে সুরজিৎ সাহা(Surajit Saha) বলেন, ‘আগে প্রমাণ করুন আপনি কতটা সৎ৷’
- পাশাপাশি নাম না করে হাওড়ার আর এক বিজেপি নেতা রথীন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন সুরজিৎ৷
বিজেপির মধ্যের অন্তর্দ্বন্দ্ব যেন ক্রমেই সকলের চোখের সামনে উঠে আসছে।