সোমবার ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ কর্তৃক পদ্মশ্রীতে ভূষিত হয়েছেন সমাজকর্মী হরেকাল হাজাব্বা (Harekala Hajabba)।
৬৮ বছর বয়সী ফল বিক্রেতাকে তার গ্রামে একটি স্কুল তৈরি করে গ্রামীণ শিক্ষায় বিপ্লব আনার জন্য পুরস্কৃত করা হয়। ফল বিক্রি করতেন তিনি তারপর নিজের চেষ্টায় শিক্ষার বিস্তার করে সমাজে শিক্ষাগত ভারসাম্য তৈরী করার চেষ্টা করেছিলেন।
অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা তাঁর এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। এতো পরিশ্রমের পরেও তাঁর সমাজের প্রতি এই দায়বদ্ধতা সত্যই ভীষণ অনুপ্রাণিত করেছে বহু মানুষকে।
অনুষ্কা মঙ্গলবার তার সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট শেয়ার এর মাধ্যমে সমাজে হাজাব্বার অবদানকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
হাজাব্বা (Harekala Hajabba) কর্ণাটকের উপকূলীয় জেলা ম্যাঙ্গালুরুতে একজন ফল বিক্রেতা।
একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।সেইসময় তাঁর গ্রামে কোনো স্কুল না থাকায় শিক্ষার কোনো সুযোগ ছিল না। পরিবারের ভরণপোষণের জন্য ফল বিক্রি করা শুরু করেন ।
একটি ঘটনা তাঁর জীবনেই মোড় ঘুরিয়ে দেয় । নতুন করে জীবন নিয়ে চিন্তা করেন।
একবার দুই বিদেশী তাঁকে ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করে কমলালেবুর দাম কত যা সে বুঝতে পারেনি । তখন তিনি প্রথাগত শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করেন।
হাজাব্বা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তাঁর গ্রামের শিশুরা এমন শিক্ষা পাবে যা সে কখনও পায়নি।
হাজাব্বা (Harekala Hajabba)তাঁর উপার্জনের একটি অংশ গ্রামে একটি স্কুল নির্মাণের জন্য সঞ্চয় করতে শুরু করেন।
এতে তাঁর সময় লেগেছিল বহু বছর। কিন্তু ২০০০ সাল নাগাদ হাজাব্বার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছিল।
তিনি একটি মসজিদের সাথে সংযুক্ত একটি ভবনে প্রায় ২০ জন ছাত্র নিয়ে একটি স্কুল শুরু করেছিলেন।
তিনি রাজনীতিবিদ, সেলিব্রেটি এবং ব্যবসায়ীদের সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছেন।
তাঁর এই প্রচেষ্টা স্থানীয় মিডিয়াতে তুলে ধরা হয়েছিল এবং তিনি ৫ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার পেয়েছেন।
অবশেষে, ১.৫ একর জমির উপর একটি স্কুল তৈরি করা হয়েছে।
স্কুলটিতে ১০০ টিরও বেশি সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী ক্লাস ১থেকে ১০ পর্যন্ত অধ্যয়ন করে ।
আরও পড়ুন :Aranyak : রাভিনা ট্যান্ডনের “আরণ্যক” মুক্তি পাবে নেটফ্লিক্সে