দেগঙ্গায় (Deganga) বিষাক্ত গ্যাস বিস্ফোরণ হয়ে ম্যানহোলের মধ্যে পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন আরও চার।তাঁরা এ রাজ্যের বাসিন্দা কি না তা নিশ্চিত নয়।তবে মৃতরা সকলেই এই রাজ্যের দেগঙ্গার বাসিন্দা।এই খবর পাওয়ার পরেই তত্‍পর হয়ে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে কর্ণাটকের মুখ্য সচিবের সঙ্গে।রাজ্য সরকার দুঃখ প্রকাশ করে ঘোষণা করেছে বিশেষ ক্ষতিপূরণ।বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলে কর্ণাটক রাজ্য সরকারকে বলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।

সূত্রের খবর মৃত পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিকের নাম হল ওমর ফারুক বয়স ৩১ বছর, সামিউল ইসলাম বয়স ১৭ বছর নুর নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফাজিলপুরের বাসিন্দা, নিজামুদ্দিন সাহাজি বয়স ৩২ বছর আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রায় পুরের বাসিন্দা, সরাফাতা আলি বয়স ২১ বছর ও মিরাজুল ইসলাম বয়স ২২ বছর দেগঙ্গা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দোগাছিয়ার বাসিন্দা।গত ৮ মাস আগে কর্নাটকের ম্যাঙ্গালোরের দক্ষিণ কন্নাড়া জেলার ভাজপে থানার অন্তর্গত এলাকায় দিনমজুরের কাজ করতে যায় এই পাঁচ যুবক।এখানে একটি মাছের কোম্পানিতে মাছ প্যাকেজিং-এর কাজ করতো তারা।এদিন ম্যানহোল পরিষ্কার করতে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে ওই ৯ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।তাঁদের মৃত্যুর খবর পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন রবিবার রাতে। এরপরেই দেগঙ্গা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে কান্না ও শোকের ছায়া।

এমন মর্মান্তিক ঘটনা শুনে ইতিমধ্যেই তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বনভূমির কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ।এরপর তাদের পরিবারের পাশে এসে দাড়ালো পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার।

 

আরো পড়ুন:Nadia:নদিয়ায় তৃণমূল কাউন্সিলরের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ