সোনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi) কংগ্রেসের সভানেত্রী পদেই বহাল রইলেন।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে দলের বিপুল পরাজয়ের পর রবিবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয়।
খবর ছড়িয়ে পড়ে পরাজয়ের দায় স্বীকার করে সভানেত্রীর পদে ইস্তফা দিচ্ছেন সোনিয়া। সেই খবর গুজব প্রমাণিত। প্রায় পাঁচ ঘন্টা বৈঠক চলে।
বৈঠকের পরে দলের মুখপাত্র দীনেশ গুন্ডু রাও জানিয়েছেন, বৈঠকে সভানেত্রী পদে সোনিয়া গান্ধি থাকবেন বলেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিন দলের ভোটে পরাজয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
নির্বাচনে ভোটের ফল খারাপ হওয়ায় এই সময়ে দলের নেতৃত্ব বদলে তত্পর ছিল দলের বিক্ষুব্ধ শিবির। এদিন বৈঠকে ৫০জন শীর্ষ কংগ্রেস নেতা অংশ নেন।
এর আগে নির্বাচনে দলের পরাজয় নিয়ে নেতৃত্ব বদলের দাবি জানিয়ে সোনিয়া গান্ধিকে চিঠি দেন দলের ২৩জন নেতা।
যারা দলে ‘জি ২৩ বলে পরিচিত। তাদের অনেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে পরাজয়ের জন্য দায়ী বলে প্রশ্ন তুলেছেন।
এদিনের বৈঠকে জি-২৩ গোষ্ঠীর তিন জন নেতাই হাজির ছিলেন। তারা হলেন আনন্দ শর্মা, মুল ওয়াসনিক ও গুলাম নবি আজান।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেন, সম্প্রতি দলকে যে ভাবে রাহুল নেতৃত্ব দিয়েছেন তা মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন প্রায় তিন দশক হয়ে গেছে, গান্ধি পরিবারের কেউ প্রধানমন্ত্রী বা কোন মন্ত্রীর পদ নেননি।
তারা দলকে যোগ্যতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
একমাত্র গান্ধি পরিবার দলকে এক সূত্রে বেঁধে রাখতে সক্ষম। তাই এই সময়ে রাহুলকেই দলের শীর্ষ দায়িত্বে আনা উচিত।