নন্দীগ্রামের ভোট নিয়ে বুধবার রাজ্য বিধানসভায় বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata)।

বাংলার রাজনীতিতে এখনও একুশের ভোট নিয়ে তরজা অব্যাহত।

তিনি বললেন, ‘আমাকে নন্দীগ্রামে প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। আমাকে লক্ষ্য করে গুলি পর্যন্ত চালানো হয়েছিল।’

এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যেয়ের দাবি, নন্দীগ্রামের ভোটে তাঁকে হারাতে ‘সমঝোতা’ হয়েছিল।

এক্ষেত্রে ‘ষড়যন্ত্রে’র অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী। তবে, কে বা কারা এই সমঝোতা করেছিল, এদিনের বাজেট ভাষণে তার কোনও উল্লেখ করেননি মুখ্যমন্ত্রী।

মমতার অভিযোগ প্রসঙ্গে পাল্টা মুখ খুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘নন্দীগ্রামে হারের যন্ত্রণা মুখ্যমন্ত্রী এখনও ভুলতে পারেননি। সেই যন্ত্রণা থেকেই বারে বারে তাই এই কথা বলে চলেছেন।

এই মুখ্যমন্ত্রীকে শুনতে হয়েছে, তিনি নন-বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী (Mamata)। হয়তো সেই কষ্ট থেকেই বার বার এ কথা বলছেন তিনি।’

শুভেন্দুর দাবি, ‘যদি নন্দীগ্রাম নিয়ে ওঁর কোন অভিযোগ থাকে, কেউ ষড়যন্ত্র করলে, তিনি তাঁর প্রশাসনকে দিয়ে তদন্ত করে দেখুন।’

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভায় বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে দু হাজারের সামান্য কম ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন

তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও প্রথমে তাঁকে জয়ী বলে ঘোষণা করেছিল কমিশন।

ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মমতা। সে মামলা আদালতে বিচারাধীন।

সেই কেন্দ্রের ভোট ঘিরে বিতর্ক এখনও জারি রয়েছে। এবার তা রেকর্ড হল বিধানসভার বাজেট ভাষণেও।

তবে, নন্দীগ্রামে পরাজিত হলেও তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর গত ২রা

মে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে পুনর্নির্বাচনে জয় পান মমতা।