মঙ্গলবার, ১৭ মে তিনদিনের জঙ্গলমহল সফরে যাচ্ছেন(Mamata) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেখানে আরও ১০০ জনকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেবেন তিনি।
পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার প্রশাসনিক বৈঠক এবং সরকারি অনুষ্ঠান থেকে ১০০ জনকে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন তিনি।
মাওবাদীর নাম করে বিজেপি হাওয়া গরম করতে উস্কানি দিচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
এবার মাওবাদীদের হাতে নিহতদের পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী বা তাদের ‘লিঙ্কম্যান’-এরকম ১০০ জনকে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, মাওবাদীদের মূল স্রোতে ফেরাতে ২০১১-১২ সালেই পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই প্যাকেজের মাধ্যমে কয়েক হাজার যুবক-যুবতীকে চাকরি দিয়েছে রাজ্য সরকার।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী (Mamata) জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন, দু’একজন যদি চাকরি পেতে বাকি থেকে থাকে, তাঁদের নামও ডিজিকে পাঠান।
এবার পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কয়েকজনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রামের প্রায় ৩০ জনকে চাকরি দেওয়া হবে। এঁদের মধ্যে ২৯ জনের পরিবার মাওবাদী হিংসার শিকার হয়েছিলেন।
আর একজন মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুরুলিয়া জেলা থেকে মোট পাঁচজন চাকরির নিয়োগপত্র পাচ্ছেন।
এঁদের মধ্যে দু’জন আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী। বাকি তিনজনের পরিবারের সদস্য মাওবাদীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন।
বাঁকুড়া জেলা থেকে চাকরি পাচ্ছেন সাতজন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকেও বেশ কয়েকজন নিয়োগপত্র পাবেন। চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্ন সূত্রে খবর, ১৭ মে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পরিষদে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
তারপর জেলার একাধিক প্রকল্পের পাশাপাশি বীরভূম জেলার ইলামবাজার-পানাগড় সেতু, লাভপুরে কুয়ে নদীর উপর সেতু এবং
ময়ূরেশ্বরের বাহিনা মোড় থেকে মুর্শিদাবাদের আন্দি পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার রাস্তার উদ্বোধন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৮মে পশ্চিম মেদিনীপুরে কর্মিসভা সেরে ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। ১৯ মে ঝাড়গ্রাম জেলার কর্মিসভা সেরে কলকাতা ফিরবেন।