তৃণমূলের পর এবার ধর্ষণকাণ্ডে নাম জড়াল বিজেপির। নাবালিকা ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে গাইঘাটায় (Gaighata) বিজেপি নেত্রী-সহ গ্রেফতার করা হয় ৪ জনকে।

সূত্রের খবর বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাড়ির সামনে খেলছিল ওই নাবালিকা। তখন প্রতিবেশী এক যুবক নতুন ক্যামেরা কিনেছে বলে তাকে জানায়। সেই ক্যামেরা দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকাকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেই বাড়িতেই ধর্ষণ করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, মেয়েকে বাড়িতে না পেয়ে তিনি খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। প্রতিবেশী মহিলার বাড়িতে যান। নাবালিকার বাবা দেখেন, ওই মহিলা এবং তার ছেলে ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাঁর সন্দেহ হয়। জোর করে দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢোকেন নিগৃহীতার বাবা। নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হচ্ছে বলেই দেখেন তিনি। পাশে দাঁড়িয়ে আরও এক যুবক। বাবাকে দেখতে পেয়েই নাবালিকা ছুটে আসে। বাবাকে জানায় চিত্‍কার করলেও কেউ সাহায্য করেনি তাকে।

জানা যায় এরপরই পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিছুক্ষণের মধ্যে এলাকা থেকে বিজেপি নেত্রী-সহ 8 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মহিলার স্বামী কেরলে কাজ করেন। সেখানেই কাজ করে ওই দুই যুবক। তারা আবার নদিয়ার নবদ্বীপের বাসিন্দা। সেই সূত্রেই ওই মহিলার সঙ্গে তাদের পরিচয়। তারা মহিলার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। অভিযুক্ত মহিলা এলাকায় বিজেপি নেত্রী হিসেবে পরিচিত।জানা যায় এই ঘটনায় গণধর্ষণ ও পকসো ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গণধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল।এদিকে ধৃত মহিলা বুথ সভানেত্রী নন, সাধারণ বিজেপি কর্মী। কিছু হয়ে থাকলে আইনি পদক্ষেপ নিক পুলিশ, প্রতিক্রিয়া বিজেপির।

 

আরো পড়ুন:Boris Johnson: শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বসবেন বরিস জনসন