এবার তাক লাগিয়ে দিল আমেরিকার স্টার্ট আপ সংস্থা কগনিশন। বিশ্বের প্রথম এআই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করেছে এই স্টার্ট আপ সংস্থা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বাজারে আসার পর থেকেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, এআই নাকি বহু মানুষের চাকরি খেতে পারে। সেটাই কি তবে সত্যি হয়ে দেখা দিচ্ছে?
গত সপ্তাহেই কেরলে দেখা গিয়েছিল ভারতের প্রথম এআই শিক্ষককে। যার পর থেকে কাজ হারানোর ভয় পেতে শুরু করেছেন শিক্ষকরা। এবার বোধহয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদেরও মালপত্র গুছিয়ে বাড়ি যাওয়ার পালা। আত্মপ্রকাশ করল বিশ্বের প্রথম ‘এআই সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার’, ডেভিন। মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থা ‘কগনিশন’ তৈরি করেছে এই নতুন এআই টুল বা এআই সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে।
ডেভিন এতটাই স্মার্ট যে, মাত্র একটি প্রম্পট দিলেই সে কোড লিখতে, ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যার তৈরি করে দিতে পারে।
মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম, ডিপ লার্নিং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ডেভিনকে তৈরি করা হয়েছে। এমন প্রোগ্রামিং করা হয়েছে যে সে নির্ভুল কোডিং করতে পারে। দ্রুত বানিয়ে ফেলতে পারে ওয়েবসাইট। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারে ভিডিও।এমনকি যে কোনও সমস্যার সমাধানে, আগেভাগে চিন্তা করতে পারে ডেভিন। জটিল থেকে জটিলতর সমস্যার সমাধান করতে পারে। অল্প সময়ের মধ্যেই হাজার হাজার সিদ্ধান্ত নিতে পারে সে, নিজের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে আরও উন্নত করতে পারে।আইটি জগতে ডেভিনকে ‘গেম-চেঞ্জার’ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, ডেভিনের জন্য মানব সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ হরানোর ভয় নেই বলে দাবি কগনিশনের। বরং মানুষ ইঞ্জিনিয়ারদের সে রিয়েল-টাইম আপডেট দেবে, প্রোগ্রামিং করতে সাহায্য করবে। কোডে কোনও বাগ থাকলে অনেক দ্রুত তা শনাক্ত করে সংশোধন করবে।অর্থাত্, রুটিন কাজগুলি সে নিজে-নিজেই করে দেবে। এর ফলে, আরও জটিল সমস্যাগুলির সমাধানে মন দিতে পারবেন মানব ইঞ্জিনিয়াররা। কাজেই, মানুষকে প্রতিস্থাপন করার পরিবর্তে, ডেভিন মানুষের দক্ষতার পরিপূরক হয়ে উঠবে।