শীতের দুপুরে সবাই যখন ফুরফুরে মেজাজে তখন হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলো আর.জে. সোমকের (RJ Somak) একটি ভিডিও। সম্প্রতি নিক্কো পার্কে ঘুরতে গিয়ে নিজের তিন বছরের ছেলেকে নিয়ে নাজেহাল হতে হল তাঁকে। এবিষয়ে কী বললেন নিক্কো পার্ক কর্তৃপক্ষ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়োতে সোমক (RJ Somak) তুলে ধরেন নিকো পার্কে ঘুরতে গিয়ে ‘বাইরের খাবার নট অ্যালাউড’ এর কী বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এই সময় ডিজিট্যালের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার বাড়িতে একটা তিন বছরের বাচ্চা আছে। যে বাড়ির ভাত, ডাল, মাছ, মাংস ছাড়া কিছুই খায় না। এবার সেখানে আউটসাইড ফুড অ্যালাউড নয়। বাইরের খাবার বলতে কী হতে পারে? রেস্তরাঁ বা দোকানের খাবার। এর বাইরে যেকোনও কিছুকেই যদি আমি ধরি, তাহলে সেটা হোমমেড ফুড বা ঘরে তৈরি খাবার। কোনওভাবেই সেটা আউটসাইড খাবার নয়। তাহলে তো স্পেসিফাই করে বলে দেওয়া উচিত, আউটসাইড ফুড ইনক্লুডিং হোমমেড ফুড ইজ নট অ্যালাউড। যেটা কোত্থাও নেই।’
তাঁর কথায়, ‘নিক্কো পার্কের ওয়েব সাইডে না এই ধরনের কিছু লেখা আছে। না টিকিট কাউন্টারে লেখা। সেটা যখন আমি বলতে গেলাম, তখন মনে হল যন দয়া করেছেন আমাদের উপর এমন ব্যবহার। বাচ্চাকে খাওয়ানোর উপায় হিসেবে দেখিয়ে দিলেন বাইরে গিয়ে খাওয়ান। যেখানে ৬০০ টাকা দিয়ে মানুষ ঢুকছেন, সেখানে ওই গাড়ির পার্কিংয়ে অতটুকু বাচ্চাকে বসে খাওয়ানো খুব কষ্টকর। শুধু আমি নই, আমার মতো হাজার হাজার মানুষের একই অবস্থা।’
সোমকের প্রশ্ন, ‘তাহলে কি অপেক্ষা করতে হবে যখন বড় হবে, তখন আমরা নিকো পার্ক যাব। ব্যাগেজ কাউন্টারে খাবার রাখার যে সিস্টেম, সেখানে বাচ্চার খাবার তো নষ্টও হয়ে যেতে পারে। তার দায়িত্ব কে নেবে? ওরা শুনে বললেন, নষ্ট হলে দেখা যাবে, তখন এসে কথা বলবেন। বোঝা গেল কোনও দায়িত্ব নিতেই তারা রাজি নন। এবং আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর যাব না। একজন শিশু যে বাড়ির খাবার ছাড়া খেতেই পারে না, তাকে এবং তার বাবা-মাকে বাধ্য করা হচ্ছে বাইরে গিয়ে এভাবে খাবার খেতে।’
এই বিষয়ে এই সময় ডিজিট্যালের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল নিক্কো পার্কের এমডি-সিইও রাজেশ রাইসিংহানির সঙ্গে। গোটা ঘটনায় তিনি বললেন, ‘কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। এই মেসেজটা পেয়ে খুব দুঃখই পেয়েছি। এত ভালোভাবে আমরা গেস্ট হ্যান্ডেল করি, তারপরেও উনি এই কথাটা বললেন। ছোট বাচ্চাদের খাওয়াতে চাইলে আমরা শুধু বাচ্চার খাবারটা দেখতে চাই। দেখালেই আমরা ছেড়ে দিই। কারণ,অনেক গেস্ট আছেন যারা বাচ্চার খাবার বলে নিজেদের খাবারও নিয়ে যেতে চাই। আমার এত বছরের কেরিয়ারে এমন ঘটনা এই প্রথম। খুব খারাপই লেগেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভিতরে যেহেতু খাওয়ার নিয়ম নেই, তাই বসারও ব্যবস্থা নেই। সেজন্য বাইরে গাড়িতে বসে বা আশেপাশে কোথাও খাওয়ার কথা বলা হয়। খাবারটা কাউন্টারে জমা রাখার পর আমরা তাদের একটা করে টোকেন দিই। মানুষ ঘুরেফিরে এসে তারপর খাবার খায়। একবার মানুষ বেরিয়ে গেলে রি-এন্ট্রি অ্যালাও না হলেও, যারা খাবার রাখএ তাদের জন্য অনুমতি দিই। কোনও মা-বাবাকে আমরা না বলিনি কখনও।’
Image source-Google