বিরল প্রজাতির পশু-পাখির ডাক অনুকরণ করে,টারজানের স্মৃতি উস্কে দিল সুন্দরবনের বিস্ময় বালক!প্রতিভার জেরে সাহায্যের হাত বাড়ানোর দাবি পরিবারের!
ছোটবেলা থেকেই সুন্দরবনের গহীন অরণ্যে প্রতিনিয়ত যাতায়াত। সেই জঙ্গলের পশু-পাখিদের ডাক কানে সবসময় ভাসতে থাকত। আর আজ সেই হয়ে উঠল সুন্দরবনের ছোট্ট টারজান। তার কন্ঠে কখনও শোনা যায় কোকিল, ময়ূর, ব্যাঙ বা হাঁসের ডাক। তো কখনও আবার শিয়াল কিংবা কুকুরের ডাক অনুকরণ করতে। আর এমনই আওয়াজ করে এবার সাড়া ফেলে দিয়েছে সুন্দরবনের পশু-পাখিদের নিত্যদিনের সঙ্গী নবারুণ।
নবারুণ কখনো খাবার দেওয়ার জন্য, তো কখনও আবার সঙ্গী হওয়ার জন্য তাদের সঙ্গে কণ্ঠস্বর মিলিয়ে আনন্দে মেতে ওঠে। বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের রূপমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম খেজুরবেড়িয়ার ১২ বছরের কিশোর নবারুন মাহাতো। পশ্চিম খেজুরবেড়িয়া হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সে। ১৫-২০ টি প্রজাতির পশু-পাখির আওয়াজ করে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই কিশোর।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতেই খেলার ছলে বিভিন্ন আওয়াজ করতে করতে তার প্রতিভার বিকাশ ঘটে। প্রথম অবস্থায় পরিবার ও প্রতিবেশীরা এমন আওয়াজ করার জন্য তাকে বকাবকি করলেও, এখন তাকে সবাই বাহবা জানায়। বাবা রামপ্রসাদ মাহাতো, পেশায় মৎস্যজীবী। জঙ্গলে মাছ ধরার পাশাপাশি জমিতে চাষের কাজও করেন তিনি। মা নমিতা মাহাতো গৃহবধূ, তার দিন কাটে বাড়িতে সংসারের কাজ করে। দরিদ্র পরিবারের ছেলে নবারুণ, পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর অবস্থা, তাই তার এর প্রতিভায় আকৃষ্ট হয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।