সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে সতর্কতা মাইকিং।সুন্দরবন উপকূলবর্তী এলাকায় কুলতলী থানা(Kultali P.S.) ,ঝড়খালি কোস্টাল থানা ও গোসোবা থানার(Gosaba P.S.) পক্ষ থেকে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজনকে সচেতন করতে প্রচার চালানো হচ্ছে।খুলে দেওয়া হয়েছে ফ্লাড সেন্টারের দরজাও।
বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই ইতিমধ্যেই আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন মানুষ। নদীর একেবারে ধারে থাকা জনবসতিগুলির উপর বিশেষ ভাবে নজর রাখছে প্রশাসন। প্রয়োজন মনে করলে লোকজনকে বাড়ি ছেড়ে ফ্লাড সেন্টারে তুলে নিয়ে আসা হচ্ছে। সুন্দরবন উপকূলে কাঁচাবাড়ির বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে লাগাতার প্রচার চলছে। ব্লকে ব্লকে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রাখা হচ্ছে।
সুন্দরবনের দুর্বল নদী বাঁধগুলির ওপর নজর রেখেছে সেচ দফতর। বড় কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে দ্রুত জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে জেলার সৈকত পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের সমুদ্র ও নদীতে নামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে মহকুমা প্রশাসন। যদিও টানা ছুটির স্বাদ নিতে ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র সৈকতগুলিতে তিল ধারণের জায়গা নেই। হোটেলে একটিও ঘর খালি নেই দিঘায়।