আপনিও কি নিজের স্বপ্নের চাকরি পেতে চান?কিন্তু কিছুতেই কিছু লাভ হচ্ছে না?অনেকে চেষ্টা করা সত্বেও আপনি ব্যর্থ?তাহলে আজকের প্রতিবেদনটি আপনারই জন্য!

অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা শেষ করে প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকে একটি সম্মানজনক ক্যারিয়ার গড়ে তোলার। ভালো বেতনে মনের মতো একটি চাকরি সবাই প্রত্যাশা করে। তবে সবাই তার কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের চাকরি পায় না। এক্ষেত্রে খুব ভেবে চিন্তে পরিকল্পনা করার পাশাপাশি নিজেকে সঠিক পথে গড়ে তুলতে পারলে আপনার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হতে পারে।কিভাবে?জানতে হলে এই ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে শুনুন!

•এর জন্য প্রথমে নির্দিষ্ট ক্ষেত্র নির্ধারণ করুন!কোন ধরনের কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ ও গভীর অনুরাগ রয়েছে? কোন কাজ করে আপনি সবচেয়ে বেশি আনন্দ পান? আপনি যে চাকরির কথা ভাবছেন, তাতে কি মনেপ্রাণে একাত্ম হতে পারবেন? এসব প্রশ্নের উত্তর প্রথমেই জেনে নিন। কাজ শেষে বাড়ি ফিরে যদি আপনার মনে হয়, ‘এ জীবন আর ভালো লাগে না’ বা ‘এতো কষ্ট জীবন নষ্ট!’ তাহলে বুঝতে হবে, যে চাকরি আপনি করছেন তা আপনার মনের মতো না। অবশ্য বেশিরভাগ চাকরিজীবীই কর্মক্ষেত্র নিয়ে অসন্তোষে ভোগেন। আর এ কারণে প্রথমেই আপনাকে আপনার আগ্রহের বিষয়টি নির্ধারণ করে নিতে হবে।

 

•ভীতি কাটিয়ে উঠুন : অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, পারিবারিক সমস্যা, পরিচিতির অভাব এরকম নানা সমস্যা মাথায় নিয়েই হয়তো আপনি কাঙ্ক্ষিত একটি চাকরির সন্ধান করছেন। সেক্ষেত্রে আপনার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে বলে হতাশায় না ভুগে বরং ভীতিগুলোকে জয় করার চেষ্টা করুন। সমস্যাগুলোকে যুক্তির মাধ্যমেই যাচাই করুন। আত্মবিশ্বাসী হোন। এতে কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাড়বে।

 

•সঠিক তথ্য জানুন : সংবাদপত্র ও ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া বিজ্ঞাপন অনুযায়ী আপনার স্বপ্নের চাকরিটি আদৌ সেরকম হবে কিনা যাচাই করুন। উদাহরণ হিসেবে- লেখক সত্ত্বা নিয়ে আপনি যদি পোশাক শিল্পে কাজ করেন, তাহলে হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

 

•বিজ্ঞ পরামর্শদাতা খুঁজুন : ক্যারিয়ারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হলে বিজ্ঞ পরামর্শদাতাদের শরনাপন্ন হতে হবে আপনাকে। আপনার জন্য কোনটি ‘স্বপ্নের চাকরি’ বুঝতে হলে একজন বিজ্ঞ পরামর্শদাতার অভিজ্ঞতা, পরামর্শ ও তার বাস্তব জ্ঞানকে প্রাধান্য দিন। আপনার বয়স যতোই হোক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একজন পরামর্শদাতার প্রয়াজনীয়তা কখনো অগ্রাহ্য করবেন না। এক্ষেত্রে সব সময় অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিন।

 

•কর্মপন্থা তৈরি করুন : হঠাত্‍ একটি ফোনকল বা চিঠির মাধ্যমে স্বপ্নের চাকরিটির জন্য আপনাকে ডাকা হবে- এ ধরনের ভাবনা বোকারাই ভাবে। শুরু থেকেই আপনাকে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হতে পারে, এ ব্যাপারে মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। প্রস্তুতির শুরুতেই নতুন যা কিছু অর্জন করতে চান, তার একটি তালিকা তৈরি করে সে অনুযায়ী নিজেকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে কাজ করে যান।

 

•সীমা নির্ধারণ করুন : মানসিকভাবে সীমা নির্ধারণ করুন কতটুকু ত্যাগ আর কষ্ট স্বীকার করতে পারবেন। কারণ চ্যালেঞ্জ, অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি অতিক্রম করেই স্বপ্নের চাকরিটি পেতে পারেন আপনি। বন্ধুদের সঙ্গে সব সময় আড্ডায় মেতে না থেকে বাস্তবতা বুঝতে হবে আপনাকে। সে অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তোলার মানসিকতা রাখতে হবে।

 

•ধৈর্য্য ধরুন : কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেই স্বপ্নের চাকরি পেয়ে যাবেন আপনি এমন আশা করাও বোকামী। ছোট পর্যায় থেকেই শুরু করতে হবে আপনাকে। সাধারণ কোনো চাকরি পেলেও হাল ছাড়বেন না। লেগে থাকুন, ধাপে ধাপে অগ্রসর হোন। হুট করে কোনো চাকরি ছাড়বেন না। কারণ স্বপ্নের চাকরির জন্য সপ্তাহ বা মাস নয়, বছরের পর বছর অপক্ষা করতে হয়। আপনি যদি ধৈর্য্যশীল ও সৃজনশীল হন, তাহলে এক সময় স্বপ্নের চাকরির নাগাল আপনি ঠিকই পেয়ে যাবেন।

 

 

আরো দেখুন:Recipe: স্বাদ বদলাতে বাড়িতে বানিয়ে নিন চিংড়ি দিয়ে পেঁপে ঘন্ট