বলিউডের জনপ্রিয় মুখ হলেন ফারহা খান (Farha Khan)। শুধু কোরিওগ্রাফাের হিসেবে নয়, পরিচালক হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছেন ফারহা খান। শুধু তাই নয় এখন একজন সফল সঞ্চালক তিনি। তবে তার জীবনে খ্যাতির শীর্ষে আসার জার্নিটা খুব একটা মসৃণ ছিলনা। ছোটবেলা রাতারাতি সব হারিয়ে রাস্তায় বসতে হয়েছিল ফারহাকে। ফারহার বাবা কামরান খান ছিলেন একজন পরিচালক, অনেক সিনেমা বানিয়েছিলেন। কিন্তু তারই কৃতকর্মের ফলে তার পুরো পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়।
সেই নিয়ে ফারহা খান মণীশের শো-তে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রাতারাতি ব্যর্থতা দেখেছি। ছবিটি শুক্রবার মুক্তি পেয়েছিল এবং শনিবারের মধ্যে তা চলে আসে প্রেক্ষাগৃহের বাইরে। রবিবার আমরা সর্বস্বান্ত। তিনি সেই ছবির জন্য মায়ের গয়না বন্ধক রেখেছিলেন, কারণ তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে ছবিটি ভালো চলবে। ওই ছবির পর থেকে তিনি মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত প্রায় ১৩ বছর ধরে তার হাতে কোনও কাজ ছিল না। আমরা ৪ বিএইচকে থেকে ১ বিএইচকে-তে চলে আসি। বাবা মদ খাওয়া শুরু করে।’
ফারহার (Farah Khan) সংযোজন, ‘৫ বছর বয়স থেকে ১৩ বছর বয়স অবধি ওভাবেই ছিলাম। এরপর মা সিদ্ধান্ত নেয় ওই বাড়ি ছেড়ে আমাকে আর সাজিদকে নিয়ে বাবার বাড়ি ছেড়ে আসবে। সেটাও একটা দৃশ্য। সোহো হউল এখন যেখানে, আমরা রাত দুটোয় ওখানে দাঁড়িয়ে আছি। মা আমাদের দুই ভাইবোনকে নিয়ে। আমরা একটা রিকশা নিয়ে ডেইজি ইরানি আন্টির সঙ্গে থাকতে চলে গেলাম। আমরা ৫ বছর তাদের সঙ্গে ছিলাম।’
নিজেদের আর্থিক অবস্থার কথা বলতে গিয়ে ফারাহ বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে কিছুই ছিল না। আমরা ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাতাম, যাতে কেউ এলে কিছু দিয়ে যায়। কারণ নিয়ে যাওয়ার মতো কিছু তো ছিল না।’
আরও পড়ুন: Purulia:নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি পুরুলিয়া জেলা শাখার উদ্যোগে সাড়ম্বরে পালন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা
Image source-Google