খাবার নিয়ে বাচ্চাদের বায়না লেগেই থাকে। আর সেই বায়না সামলাতে সামলাতে মাথায় হাত পড়ে মায়েদের। তাই এবার বাড়িতে তাদের মন জয় করে নিন দুর্দান্ত রেসিপি দিয়ে। বাড়িতে বানিয়ে নিন সুস্বাদু গার্লিক নান। নিশ্চয়ই ভাবছেন কিভাবে বানাবেন এই রেসিপি (recipe)। চলুন দেখে নিই সেই রেসিপি (Recipe)।
উপকরণ:
ময়দা: ৪ কাপ
টক দই: ২ কাপ
চিনি: ১ চা টামচ
তেল: ৪ টেবিল চামচ
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
ধনেপাতা: ১ কাপ
রসুন কুচি: ১ কাপ
বেকিং পাউডার: আধ চা চামচ
ড্রাই ইস্ট: ১ চা চামচ
মাখন: ২ টেবিল চামচ
প্রণালী:
১) প্রথমে একটি পাত্রে ময়দা, নুন, চিনি, বেকিং পাউডার, রিফাইন্ড তেল এবং জলে গুলে রাখা ইস্ট ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে।
২) এ বার টক দই দিয়ে ভাল করে ময়দা মেখে নিতে হবে। প্রয়োজনে সামান্য গরম জল দেওয়া যেতে পারে।
খেয়াল রাখবেন, ময়দার তাল যেন খুব বেশি শক্ত না হয়ে যায়।
মাখা হয়ে গেলে সামান্য তেল দিয়ে ময়দার তাল ঢেকে রাখতে হবে অন্তত পক্ষে ঘণ্টা দুয়েক।
৩) একটি পাত্রে রসুন মিহি করে কুচিয়ে বা গ্রেট করে রাখতে হবে। ধনে পাতাও কুচিয়ে রাখতে পারেন।
৪) ঘণ্টা দুয়েক যদি রাখতে না-ও পারেন, অন্তত এক ঘণ্টা পর ময়দার তাল থেকে লেচি কেটে নিয়ে নান আকারে বেলে নিতে হবে।
মনে রাখতে হবে, নান কিন্তু লুচি বা পরোটার মতো পাতলা হয় না। তাই একটু মোটা করে বেলতে পারলেই ভাল।
৫) এ বার নানের উপর রসুন কুচি, ধনেপাতা এবং কালো জিরে ছড়িয়ে দিন।
চাইলে এক বার হালকা করে উপর থেকে বেলন চালিয়ে নিতে পারেন। উপরে একটু মাখন মাখিয়ে নিতে হবে।
৬) এর পর গ্যাসে কড়াই গরম করতে দিন। নান রুটির যে পিঠে রসুন দিয়েছেন, তার উল্টো পিঠে সামান্য জল মাখিয়ে কড়াইতে দিয়ে দিন।
এমন ভাবে দিতে হবে, যাতে কড়াই উল্টে দিলেও নান রুটি পড়ে না যায়।
৭) তার পর কড়াই উল্টো করে গ্যাসে বসিয়ে দিন। আঁচ একেবারে হালকা করে রাখবেন।
৮) কিছু ক্ষণের মধ্যেই দেখবেন মাখন মাখানো অংশটি ফুলে উঠছে। এ বার অত্যন্ত সন্তর্পণে গ্যাসের উপর থেকে কড়াই তুলে সোজা করে নামিয়ে নিতে হবে।
প্রতি বার নান সেঁকতে দেওয়ার আগে উল্টো পিঠে জল মাখিয়ে নিতে ভুলবেন না যেন।
Image source-Google