মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার ফুলহর নদী তীরবর্তী অঞ্চলের দক্ষিণ তীরে নদীর জল কমতেই দেখা দিল ব্যাপক ভাঙ্গন। ভাঙ্গনের জের এতটাই যে, হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে নদী ক্রমশ জনবসতির কাছে চলে এসেছে, যার ফলে জনবসতি এলাকা থেকে নদীর দূরত্ব ঠেকেছে মাত্র কুড়ি মিটার দূরে। ইতিমধ্যে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার বেশ কতগুলি পোল ভাঙ্গনের প্রভাবে নদীর খুব কাছে চলে এসেছে।

এক থেকে দু’দিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করার খুঁটিগুলি নদী গর্ভে তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভাঙ্গন দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে ভাঙ্গনের জেরে বেশ কয়েকটি ইলেকট্রিকের পোল নদীর দিকে হেলে পড়েছে। পোলগুলি নদীর তলায় চলে গেলে হরিশ্চন্দ্রপুর দু’নম্বর ব্লক এলাকার ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত থেকে আটটি গ্রামের মানুষ কার্যত অন্ধকারে ডুবে যাবে। নদী ভাঙ্গনের জেরে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়বে হরিশ্চন্দ্রপুরের এক অংশ।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, নদী ভাঙ্গনের জেরে ইসলামপুর অঞ্চলের কাউয়া ডোল, রশিদপুর, উত্তর ভাকুড়িয়া, দক্ষিণ ভাকুড়িয়া, মিরপাড়া ও তাঁতিপাড়া-সহ একাধিক গ্রামের নদী সংলগ্ন বিভিন্ন পাড়ার খুব কাছে চলে এসেছে নদী। ভাঙ্গনের এই চেহারা দেখে এলাকার কৃষকেরা নদী তীরবর্তী অঞ্চলে চাষ করা পাট অপরিণত অবস্থাতেই কেটে নিচ্ছে। খুলে নেওয়া হচ্ছে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা কাঁচা বাড়িগুলি। তবে, এইভাবে ভাঙন চলতে থাকলে অচিরেই হরিশ্চন্দ্রপুর দু’নম্বর ব্লক এলাকার ইসলামপুর অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম নদীগর্ভে চলে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা স্থানীয়দের।

 

আরো পড়ুন:Durgapuja:খুঁটি পুজোর মধ্য দিয়ে আটঘোড়া নপাড়া বারোয়ারী পরিচালিত সার্বজনীন দুর্গোৎসবের কাউন্টডাউন শুরু