কয়েকদিন আগেই ৫৯ বছরে পা দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। তার জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন ভালো করা পোস্ট দেখতে পাওয়া যায়। বেশ কিছু ছবি শেয়ার করে বৈশাখী ক্যাপশন দেন ‘দুষ্টুর জন্মদিন’। কিন্তু কিভাবে তার নাম দুষ্টু হলো? সেকথা নিজেই জানালেন বৈশাখী।
তিনি বলেন, ‘মহুলের সঙ্গে থাকলে শোভনের অনেক অচেনা দিক আমার চোখে পড়ে। একদিন পড়ানোর সময় আমার একটু ধৈর্যচ্যুতি ঘটেছে। একটু বকাবকি করছি। তো শোভন এসে বলল আয় তো তুই আমার কাছে। ও মা দেখি কী সুন্দর রাইমস মুখস্থ করিয়ে দিল ছড়া কেটে কেটে। আমি দেখে অবাক। জানতামই না ওর এই গুণটাও আছে।’
তাতে শোভন (Sovan Chatterjee) বলে ওঠেন, ‘এমনিতে মহুল খুব সিনসিয়র বাচ্চা। সেই একটা সিরিয়াল ছিল না সাস কাভি ভি বহু থি। ও হয়তো মেয়ে হতে পারে, কিন্তু আমি তো ওর বয়সীই ছিলাম। কত দুষ্টু ছিলাম। মানে দুষ্টু টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি ছিলাম। ও খুব লক্ষ্মী। এই দুষ্টুমি করতে করতেই আমার নাম দুষ্টু হয়ে গেছে।’
তারপর বৈশাখী বলে ওঠেন, ‘তাহলে বাংলার মানুষ জানতে পারল বাড়িতে দুটো দুষ্টু আছে। আমিই একমাত্র ভালো মেয়ে।’ প্রসঙ্গত, শোভনকে বৈশাখীর মেয়েও ‘দুষ্টু’ বলেই ডাকে। নিজের বাবার মতোই সে আপন করে নিয়েছে শোভনকে।
বৈশাখী এই সম্পর্কে জানিয়েছিলেন, ‘কিছুদিনের জন্য মনোজিতদের বাড়ি থেকে মহুলকে ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম। যদিও শোভন প্রথম থেকেই মহুলকে সঙ্গে নিয়ে আসার কথা বলেছিল। আমার ভয় ছিল আমি মহুলের সব ব্যবস্থা করতে পারব কি না। রাতারাতি ব্যবস্থা করে দিয়েছিল শোভন।
মহুলও আমার কাছে চলে আসে। তখন থেকে মহুল আর শোভনের সম্পর্ক অসাধারণ। আমাকে কিছুই করতে হয়নি। শোভনের মধ্যে এত ভালোবাসা, এত টান, যে মহুল খুব সহজে ওকে আপন করে নেয়। শোভনই ওকে শিখিয়েছিল তুই আমাকে দুষ্টু বলবি, আমি তোকে দুষ্টু বলব। আমরা দুজন মিলে দুষ্টুমি করব।’
আরও পড়ুন: Kestopur:কেষ্টপুর প্রফুল্ল কানন পশ্চিম অধিবাসীবৃন্দর দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু
Image source-Google