তীব্র দাবদাহের মধ্যে লোডশেডিং। সম্প্রতি কলকাতার বাসিন্দাদের বিদ্যুত্ (Electricity) চলে যাওয়া নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।
সিইএসসির গাড়ি ভাঙচুর, কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ লেগেই ছিল। এবার ফের একবার এই বিদ্যুত্ বিভ্রাটের সমস্যা নিয়ে সিইএসসির আধিকারিক দের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের বিদ্যুত্মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
তীব্র গরমে কলকাতা, হাওড়া, শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুর, দমদম সহ বিভিন্ন জায়গায় লোডশেডিং হয়ে উঠেছে আতঙ্কের আরএক নাম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকছে বিস্তীর্ণ এলাকা। সিইএসসি দফতরে অভিযোগ জমা পড়ছে, তেমনই রাজ্যের বিদ্যুত্ দফতরকেও কাঠগড়ায় তুলছেন ভুক্তভোগীরা।
এদিন বিদ্যুত্ (Electricity). উন্নয়ন ভবনে সিইএসসির উচ্চপর্যায়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদ্যুত্মন্ত্রী। সেই বৈঠকে বিদ্যুত্ বিভ্রাট নিয়ে তাঁদের যুদ্ধকালীন তত্পরতায় সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন অরূপ বিশ্বাস।
তিনি আধিকারিদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের জন্য রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এরপর যেন বিদ্যুত্ বিভ্রাট নিয়ে আর কোনও অভিযোগ আমার কাছে বা আমার দফতরে না আসে।’ সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে টেকনিক্যাল টিম ও কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দেন অরূপ।
যদিও এই বছরের তীব্র গরমে যেমন একলাফে বেড়েছে এসি, কুলারের ব্যবহার, তাতে বিদ্যুতের ঘাটতি হওয়া খুব অস্বাভাবিক নয়। গ্রাহকদের অভিযোগ, এমনটা যে হবে তা আগেই জানত বিদ্যুত্ দফতর।