উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট (Basirhat) জেলার হাসনাবাদ থানার রুপমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশতলা গ্রামের বাসিন্দা বছর আটত্রিশের সঞ্জয় মন্ডল।কর্মসূত্রে ব্যাঙ্গালোরে থাকতেন তিনি।গত ৬মাস আগে শেষ বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। এরপর গত শুক্রবার ফের যশোবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর।

জানা গিয়েছে, উড়িষ্যার বালেশ্বরে মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনার কবলে পড়েন সঞ্জয় মন্ডল। তবে, তারপর প্রায় ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার স্ত্রী আরতি মন্ডল ও ছেলে বিশ্বজিৎ মন্ডলের সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল সঞ্জয়ের। তারপর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি তার। এমনকি, মোবাইল বেজে গেলেও ধরছে না কেউ। সব মিলিয়ে মন্ডল পরিবারে হতাশা আর আতঙ্ক গ্রাস করেছে। কখন তাদের ঘরের লোকের সঙ্গে কথা হবে সেই অপেক্ষায় রয়েছে গোটা পরিবার।

সোমবার সকালে হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও শাশ্বত প্রকাশ লাহিড়ি, জয়েন্ট বিডিও আবুল কালাম আজাদ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্চনা মৃধা, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তুষার মন্ডল, পূর্তের কর্মধ্যক্ষ শহিদুল্লা গাজী, প্রাণিসম্পদ কর্মধ্যক্ষ পরিমল বিশ্বাস ,স্বাস্থ্য কর্মধ্যক্ষ প্রবীণ হালদার-সহ মোট ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল সঞ্জয় মন্ডলের বাড়িতে আসেন। সেখানে সঞ্জয়ের স্ত্রী আরতি মন্ডলের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা, পাশাপাশি তাদের আর্থিক থেকে শুরু করে সমস্ত রকম সরকারি সাহায্যের আশ্বাসও দেন তাঁরা।

হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্চনা মৃধা বলেন, ‘এই পরিবারের পাশে আমরা আছি দুস্থ পরিবারের সব রকম ত্রাণের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও তার সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছি।’ হিঙ্গলগঞ্জের ভিডিও শাশ্বত প্রকাশ লাহিড় জানান, ‘গোটা পরিবারের পাশে আমরা সব রকম ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আমরা সরকারিভাবে সরকারি প্রতিনিধি এবং পরিমল মন্ডলের আত্মীয়-স্বজন মিলে একটি গাড়ি করে বালেশ্বরের পথে রওনা দেব। তবে আশা করছি তিনি সুস্থ আছেন।’

পরিবারের আশা, সঞ্জয় মৃত হোক বা জীবিত, তিনি যেন বাড়ি ফিরে আসেন।কারণ,এমন আশঙ্কা আর সহ্য করতে পারছেন না তারা।

 

আরো পড়ুন:Weather Update: তাপপ্রবাহ চলবে আরও ৫ দিন! সতর্কতা জারি রাজ্যে