অপরাধ, এলাকায় থেকে বিজেপি (BJP) করা! আর সেই অপরাধেই রুইয়া এলাকার বাসিন্দা রূপা মন্ডল ও তার স্বামী রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে বেধরক মারধর করে মাথা ফাটনোর অভিযোগ উঠল শ্রীদাম বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই রহড়া থানায় ওই ব্যাক্তির নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে আহতদের তরফে।

অভিযোগ, গত ২৭-৪-২০২৩ তারিখ রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের স্ত্রী রুপা বিশ্বাস-এর শ্লীলতাহানি করে শ্রীদাম বিশ্বাস। এরপরই রুপা বিশ্বাস খড়দহের রহড়া থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। আর তারপরই কেস তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয় তৃণমূল কর্মী শ্রীদাম বিশ্বাস , রিনা বিশ্বাস, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস ও মিতা বিশ্বাসের তরফে। কেস না তোলায় গত বুধবার জামাইষষ্ঠীর দিন বেধড়ক মারধর করা হয় রুপা বিশ্বাস-কে। এমনকি, মেরে হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয় রুপা বিশ্বাসের স্বামী রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের। এরপর থেকেই ভয়ে বাড়ি ছাড়া রুপা বিশ্বাসের গোটা পরিবার। এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা, ভয়ে ঢুকতে পারছেন না নিজের বাড়িতেও।

জানা গিয়েছে, রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও, এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। সোমবার রহড়া থানার পুলিশ শ্লীলতাহানির জবানবন্দী নেওয়ার জন্য বারাকপুর আদালতে নিয়ে যায় রুপা বিশ্বাসকে। তাদের দাবি, তারা বিজেপি করে বলেই তাদের উপর এমন অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা।

যদিও, এহেন ঘটনার আসল কারণ কি, তা এখন জানা যায়নি। তবে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।

 

আরো পড়ুন:Payel De: শিশুশিল্পী খুঁজতে এ কেমন বিজ্ঞাপন দিলেন ডিরেক্টর! প্রতিবাদ করলেন পায়েল দে