৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলা সংশোধন করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) আগের রায় সংশোধন করে ৩৬,০০০ এর পরিবর্তে ৩২,০০০ অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন। মঙ্গলবার ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) পর্যবেক্ষণ, তিনি মুখ খুললে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া হয়ে যেতে পারে। এদিন প্রায় ৩২ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। প্রায় চার হাজার বেকার স্বস্তি পেলেন। তাদের চাকরি বহাল থাকল।
যাইহোক, বর্তমানে যাদের চাকরি আছে তারা প্রশিক্ষিত। টাইপোগ্রাফিক ত্রুটির কারণে তাদের নাম অপ্রশিক্ষিতদের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছেল। আর এর ফলে বাতিল হওয়া চাকরির তালিকায় তাদের নাম উঠে আসে। অন্যদিকে যে ২ হাজার ৭৭০ জন প্যারা টিচার, যাঁরা বলছিলেন তাঁদের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ছিল, তারপরও কেন তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে, সেখানেই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার বিষয়টি বলেন বিচারপতি।
তবে বিচারক সাফ জানিয়ে দেন, শুধুমাত্র অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের জন্যই চাকরি বাতিল করা হয়েছে এমনটা নয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) স্পষ্ট করেছেন যে বেশ কয়েকটি অবৈধ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল। এদিন উপস্তিত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আলাদা ভাবে আর্জি জানানো হয়। তারা বলেন যে তারা অ্যাপ্টিটিউড পরীক্ষার জন্য প্রযোজ্য নয়। তবে বিচারক বলেন, এর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি তার নির্দেশ পরিবর্তন করতে পারবেন না। তার সেই ক্ষমতা নেই। ফলে আপাতত বাতিল থাকছে ২ হাজার ৭৭০ জন প্যারাটিচারের অস্বস্তি।
তখন একজন শিক্ষিকা তাদের জিজ্ঞাসা করলেন কেন তাদের কষ্ট করতে হবে? বিচারপতি বলেন যে তিনি মুখ খুললে “রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া” হয়ে যাবে। দলে দলে চাকরি বিক্রি হচ্ছে। কেউ কেউ শাক দিয়ে মাছ ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করেন। আদালত দোষী নয়। আপনারা সেগুলো বলুন।
আরও পড়ুন:Judge : ‘জিনা ইয়া, মরনা ইয়া’ অবসরের দিনে আবেগপ্রবণ সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি