কথায় বলে শুধু জন্ম দিলেই মা হওয়া যায়না। মা হতে গেলে লাগে অনেক মনের জোর।
স্বরলিপিও কিন্তু সেইরকমই এক মায়ের উদাহরণ।
মাতৃদিবস উপলক্ষে আনন্দবাজার অনলাইনের বিশেষ অনুষ্ঠান ‘লোকে কী বলবে’ অনুষ্ঠানের বিশেষ পর্ব ‘একা মায়ের পথচলা’ যেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বরলিপি।
নিজের মেয়ের সাথে তার সমীকরণ তুলে ধরলেন তিনি মনোবিদ অনুত্তমা ব্যানার্জীর (Anuttama Banerjee) কাছে।
এর আগের পর্বে একা হাতে ব্যবসা এবং সংসার কিভাবে তিনি সামলেছেন সেই গল্প করেছিলেন।
এবার নিজের মেয়ে ও তার সম্পর্ক কেমন সেই নিয়ে আড্ডায় মাতলেন স্বরলিপি।
তিনি বলেন, “এই বয়সেই সহচরী আমার অভিভাবক হয়ে উঠেছে।
আমি কখন কোথায় যাচ্ছি শুধু এই কৌতূহল মিটিয়েই ক্ষান্ত হয় না সে।
যেখানে আমি গিয়েছি, সেখানে কেন তাকে নিয়ে যাওয়া হয়নি, সে প্রশ্নও সহচরীর মনে জাগে।
কারণ, মাকে সে আগলে রাখতে চায়। আবার আমাকে কেউ কিছু বললে আমার হয়ে বাকযুদ্ধও করে আসে।
কারণ সে যে প্রকৃত পক্ষেই আমার সহচরী।
আমার রাগের মুহূর্তগুলোতেও প্রবল ঝড়ের মুখোমুখি হয় সে।
পরে শান্ত হলে জিজ্ঞেস করে রাগ করেছিলে? সরি বলো। এবং আমি ভুল করলে সরি বলি।
এই বোঝাপড়াটা আমাদের মধ্যে রয়েছে। মা হয়ে সন্তানের কাছে ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে কোনও লজ্জা থাকার কথা নয়।”
সহচরীকে বড় করার জার্নিতে কীভাবে মাতৃত্ব উপভোগ করছেন স্বরলিপি?
জিজ্ঞেস করলে অনুত্তমাকে (Anuttama Banerjee) তিনি জানান, “মাতৃত্ব মানে নিজেকে ভুলে যাওয়া নয়। সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত আমি মেয়ের স্কুল, পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকি।
কিন্তু শুক্রবার রাতে আমি মেয়েকে মায়ের কাছে রেখে দিয়ে আসি।
কারণ, মেয়ের দায়িত্ব পালন করা এবং ব্যবসা সামলানোর পর ওই সময়টুকু আমি নিজের সঙ্গে কাটাই।
এবং ও সেটা জানে। কারণ, আমি মেয়েকে লুকিয়ে কিছু করি না। ওই সময়ে ও আমাকে ফোনও করে না।
তার জন্য আমাদের সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যায় না। ও অসুস্থ হলে যেমন আমি রাত জেগে ওর পাশে থাকি।
আমার কিছু হলে সহচরীও আমার মাথায় জলপটি দিতে চায়।
আবার এমনও হয়েছে যখন আমার এই সংসারের যাঁতাকল ভাল লাগেনি, সব কিছু ছেড়ে আমি একা বেড়াতে চলে গিয়েছি।
আমার মা-ও কখনও ভুল বুঝেছেন। কিন্তু মেয়ে সব সময় আমার পাশে থেকেছে।”
আরো পড়ুন: Judge : ‘জিনা ইয়া, মরনা ইয়া’ অবসরের দিনে আবেগপ্রবণ সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি
Image source-Google