গত এক বছর বন্ধ থাকার পর, অবশেষে দিন কয়েক আগে বালিঘাট (Balighat) ব্লকে একটিমাত্র ঘাট খোলা হয়েছে। আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে ১০০ সিএফটি বালি ৩২০ টাকায় সরকারের কাছ থেকে কিনতে দেখা গেল ব্যবসায়ীদের এবং সেই সাথে সরকারি রয়েলিটি চার্জ ৩৬০ টাকা, জিএসটি ৪০ টাকা ও ৮০০ টাকা লেবার খরচ-সহ মোট হাজার দুয়েক টাকা খরচ করে নদী থেকে তোলা হচ্ছে বালি। কিন্তু, সেই বালিই কিনা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। উল্লেখ্য, গত এক বছর ধরে ঘাট বন্ধ থাকার কারণে প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা দরে এক ট্রাক্টর বালি কিনতে হচ্ছিল এলাকার মানুষদের। তবে, বালিঘাট খুললে সেই দাম কমবে বলেই আশা করেছিলেন এলাকাবাসী। কিন্তু ঘাট খুললেও, দাম একই রয়ে গেল!

কিন্তু, কেন এত দাম? যেখানে গত বছর সাধারণ মানুষ ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকায় বালি কিনছিলেন, সেখানে কি এমন হল যে, এক বছরে সেই টাকার দু-গুণেরও বেশি টাকা দাম হয়ে গেল বালির? যদিও, এ বিষয়ে ঘাট মালিকদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে অবশ্য সাধারণ মানুষ ও ট্রাক্টর মালিকরা বিক্ষোভ দেখান দুদিন ধরে। যদিও তাতে ঘাট মালিকরা এক টাকাও দাম কমাননি।

ট্রাক্টর মালিকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হওয়ায় তারা দু’দিন ধরে বিক্ষোভ দেখান। পরে ঘাট মালিক ট্রাক্টর মালিকদের সাথে বসে কথা বললে আশ্বাস দেন কম টাকায় বালি দেবেন। কিন্তু কাজে সেসবের কিছুই হয়নি বলেই অভিযোগ ট্র্যাক্টর মালিকদের। যা নিয়ে শুরু হয় বালিঘাটে বিতর্ক, ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যান জয়পুর ব্লকের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক গুণধর মন্ডল। পরিস্থিতি আরও চরমে পৌঁছালে বন্ধ করে দেওয়া হয় বালি খাদ। তবে, এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই! সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, প্রশাসন যদি এই বালির দামের উপর নজর দেন তাহলে হয়তো আগামী দিনের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে, তা নাহলে আর কোনো উপায় নেই, এই চড়া দামেই কিনতে হবে বালি।

 

 

আরো পড়ুন:Bankura:জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করায় এখন জঙ্গলমহলের অলরাউন্ড পল্লবীর