বৃহস্পতিবার থেকে বাঁকুড়া (Bankura) শহরের ফুটপাথকে দখল মুক্ত করার উদ্যোগ নিল বাঁকুড়া পৌরসভা ও প্রশাসন।এদিন বাঁকুড়া সদর মহকুমা শাসক সুশান্ত কুমার ভক্ত,পৌরপ্রধান অলকাসেন মজুমদার,আইসি দেবাশিস পাণ্ডা,সবাই মিলে একত্রিত হয়ে শহরের ‘প্রাণকেন্দ্র’ হিসেবে পরিচিত মাচানতলা এলাকার ফুটপাথ দখল মুক্তের কাজ শুরু করে।
মূলত,গত কয়েক বছর আগে বাঁকুড়া শহরে ‘গ্রিন সিটি’ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।সৌন্দর্যায়নের নামে কোটি কোটি টাকা খরচ করে শহরের রাস্তার দু’পাশ হকারমুক্ত করে বেড়া দেওয়ার কাজ হয়।বর্তমানে বেড়ার ওপাশের জায়গা অঘোষিত ডাস্টবিনে পরিনত হয়েছে।সংশ্লিষ্ট হকারদের পূনর্বাসন দেওয়া হয় শহরের কৃষক বাজারে।কিন্তু সেখানে ‘বেচাকেনা হচ্ছে না’ অজুহাতে রাস্তার পাশে ফের তারা বসতে শুরু করেছেন।ফলে দিনভর যানজট লেগেই থাকে মাচানতলা এলাকায়।এই অবস্থায় ‘গ্রিন সিটি’ প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা খরচের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।তাই এবার ফুটপাথ দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিল উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।
এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার বলেন, জনস্বার্থেই শহরের ফুটপাথ দখলমুক্ত করা প্রয়োজন। ব্যবসায়ীরা ফুটপাথ ছেড়ে না গেলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিলেও বিগত পৌরবোর্ডের আমলে ‘গ্রীণ সিটি’ প্রকল্পের মুখ ধুবড়ে পড়া নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে চাননি।
অন্যদিকে বাঁকুড়া সদর মহকুমাশাসক সুশান্ত কুমার ভক্ত নিজেও স্বীকার করেন কৃষক বাজারে ব্যবসায়ীদের বিক্রি হয়না। তবে তিনি ‘গ্রীণ সিটি’ প্রকল্প নিয়ে কিছু জানেননা বলে দাবি করেন।
এদিকে এই ঘটনায় মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদের।ব্যবসায়ীদের দাবি, আমাদের এমন জায়গায় পাঠানো হলো যেখানে দিনে ন্যুনতম বিক্রিবাটাও নেই। আমরা ভীতরেই ছিলাম, পৌরসভার সিদ্ধান্তই আমাদের বাধ্য করেছে বাইরে এসে বসতে।
ব্যবসায়ীদের দাবিকে সমর্থণ করেছেন শহরবাসীর একাংশ। তাদের যুক্তি কৃষক বাজারে খুব একটা মানুষ যায়না। শহরে আসা গ্রামের মানুষের কাজ থাকে মূলত মাচানতলা এলাকাতেই। ফলে বাধ্য হয়েই ব্যবসায়ীরা রাস্তার পাশে বসছেন।
আরো পড়ুন:Arijit Singh: হাসপাতাল তৈরি করবে অরিজিত্, প্রশাসনকে সাহায্যের নির্দেশ মমতার