মালতীর জন্মের পর প্রতিটা রাত কিভাবে কাটাতেন প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Chopra), কতোটা ভয়ে থাকতেন মেয়েকে নিয়ে তা নিয়েই আগেই মুখ খুলেছিলেন পরিণীতি চোপড়া।
এবার সম্প্রতি এই নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সময়ের আগেই জন্ম নিয়েছিল প্রিয়াঙ্কা এবং নিকের মেয়ে।
তাই নানা জটিলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাকে।
জন্মের পর টানা ১০০ দিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে রাখা হয়েছিল।
অবশেষে সে সুস্থ হয়েছে এবং মা বাবার সাথে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা এদেশে ওদেশে।
তবে সেই দুঃস্বপ্নের রাতগুলো কিভাবে কাটিয়েছেন তিনি সেই নিয়েই কথা বললেন তিনি।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে প্রিয়ঙ্কা (Priyanka Chopra) বলেছেন, ‘ আমার স্বামী নিক যে আমার কত বড় শক্তি, তা ফের একবার প্রমাণ পেয়েছিলাম মালতী জন্মানোর সময়।
নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জন্ম হয় মালতীর। সেই খবর আমি যখন পেয়েছিলাম, বুঝে উঠতে পারছিলাম না, কি করা উচিত আমাদের। আমার শরীরে যেন শক্তি ছিল না।
আমায় ধরে ফেলে নিক। উদভ্রান্ত ওকে বলি যে আমি বুঝতে পারছি না আমার কী করা উচিত। নিক শুধু বলে, আমার সঙ্গে গাড়িতে ওঠো।
ও নিজে গাড়ি চালিয়ে আমায় হাসপাতালে নিয়ে যায়। মালতী জন্মানোর পর থেকে আজ পর্যন্ত, কক্ষনো আমার দুজনকে ছাড়া থাকেনি।
ওকে দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকতে হয়। আমি কেবল মনিটর দেখে বুঝতাম, আমার মেয়ে জীবিত রয়েছে।
দীর্ঘদিন ঘুমোতে পারিনি আমি। চমকে জেগে উঠে দেখতাম মনিটর চলছে কি না। মালতীর হার্টবিট রয়েছে কি না।
ওর বুকে কান রেখে শুনতাম। আর সমস্ত সময়টা আমার পাশে ছিল নিক।
প্রত্যেক মুহূর্তে ও আমায় মানসিকভাবে শক্ত করে গিয়েছে।’
প্রিয়ঙ্কা আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই লড়াইটা যতটা আমার আর নিকের ছিল, তার থেকে অনেক বেশী ছিল মালতীর।
ও লড়াই করে জয়ী হয়েছে।
যেদিন মালতীর শরীরের থেকে সমস্ত মনিটর বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হল, ওকে বাড়ি নিয়ে এলাম, সেই দিনটার কথা কখনও ভুলতে পারব না।
আমরা কেবল সবসময় মালতীর সঙ্গে থাকতাম।
মনে হত, ওকে অনুভব করানো উচিত, লড়াইতে ও একা নেই, আমরাও ওর সঙ্গে রয়েছি।’
আরো পড়ুন: Purulia:আদিবাসী সংগঠনদের নিয়ে বিশেষ বৈঠকের আয়োজন জেলা পুরুলিয়ায়
Image source-Google