এটা কোনো শোকজ নয়,মেরুদন্ড সোজা রাখার পুরস্কার!রীতিমতো উৎসবের মেজাজে মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের শোকজের জবাব দিলেন প্রাথমিক শিক্ষকরা।সঙ্গে করালেন এসআইকে করালেন মিষ্টি মুখও।ঘটনাটি পুরুলিয়ার (Purulia)।
গত ১০ই মার্চ বকেয়া ডিএ -এর দাবি নিয়ে যৌথ মঞ্চের উদ্যোগ রাজ্য জুড়ে যে ধর্মঘট হয়েছিল।তার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলার শিক্ষা দপ্তর,সমস্থ ধর্মঘটে অংশকারী সরকারি শিক্ষকদের শোকজ করা হয়।আর তার জবাবই এদিন তারা দেন হাসিমুখে,মিষ্টি মুখ করিয়ে।তাদের মতে এটা তাদের মেরুদন্ড সোজা রাখার পুরস্কার।
পাশাপাশি এদিন স্লোগানের মধ্য দিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
তারা বলেন,-কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ,আগামী প্রজন্মকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে প্রতিটি শুন্য পদে স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ,এবং যারা কনট্রাকচুয়াল আছে তাদের পার্মানেন্ট স্টাফে পরিণত করার দাবি নিয়ে ১০ই মার্চ ধর্মঘট করেছিলাম আমরা।আর সরকার এই ধর্মঘট বানচাল করার জন্য গণহারে শোকজ করেছেন।আজকে দীর্ঘ ১ মাস ১৪ দিন পর শোকজ চিঠি হাতে পেয়েছি আমরা।এরপরই তারা বলেন,-এটা আমরা শোকজ মনি করি না।এটা মেরুদন্ড সোজা রাখার পুরস্কার।তাই উৎসবের মেজাজে সবাই আমরা শোকজের উত্তর দিতে একত্রিত হয়েছি।
হুশিয়ারি সুরে বলেন,-আপনারা বেতন কাটুন।কিন্তু এই বেতনে কোনো কাটমানি খাবেন না।এই বেতন যেনো সরকারের উদ্যোগে শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।
একইসঙ্গে আন্দোলনকে তীব্র করার জন্য আগামী ৬ ই মে কলকাতার রাজপথে লক্ষাধিক কর্মচারীদের নিয়ে একটি মহা মিছিলের ঘোষণাও এদিন করেন তারা।বলেন,-যে মহা মিছিলের গন্তব্য স্থল থাকবে মাননীয়ার মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি।
সব মিলিয়ে বলা যায় বকেয়া ডিএ নিয়ে ক্রমশই বিপাকে পড়েছে শাসক শিবির।কোনোভাবেই তাদের রুখতে পারছেন না রাজ্য সরকার।