বেআইনিভাবে টেন্ডার (Tender) করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ।কাঠগোড়ায় বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়া জেলার অন্তর্গত বরাবাজার এলাকা।
পঞ্চায়েতের কর্মাধ্যক্ষদের অভিযোগ,-পঞ্চায়েত সমিতির কর্তৃক মোট ১৯ টি রাস্তার উপরোক্ত ই টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।ওই টেন্ডারের কিছু পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য আমাদের অনেকেই রেজুলেশন খাতাতে সহি করানো হয় না।এমনকি গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২২ তারিখ এবং ২৪ তারিখ অর্থ ও জেনারেল বডির মিটিং এ আমরা উপস্থিত ছিলাম না।এক্ষেত্রে ওই দুই দিনের মিটিং তে কি কি সিদ্ধান্ত পঞ্চায়েত সমিতি কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে জানতে চেয়ে মার্চ মাসের ৩ তারিখে বরাবাজার ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে একটি চিঠি পাঠানো হয়।
অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন,-আমরা জানি ওই চিঠির জবাব পাওয়া যাবেনা।আমরা পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত প্রতিনিধি আমাদের অজ্ঞাতসারে কিভাবে কোন আইনে ওই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।তাই সমস্ত অভিযোগের বিষয় নিয়ে বরাবাজার ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানান বরাবাজার পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষরা।
এই বিষয়ে বরাবাজার ২ নম্বার মন্ডলের প্রেসিডেন্ট নিষাপতি মাহাত বলেন,-যারা জনগণ থেকে নির্বাচিত হয়ে প্রতিনিধি হয়েছেন তাদের বাদ দিয়ে কখনো টেন্ডার হতে পারে না।যদি তাদের সম্মান বা মর্যাদা না দেওয়া হয় আগামী নির্বাচন প্রহসনের পরিণত হবে।তাহলে নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিল করাই ভালো।যদি বিডিও সাহেবের এই চালের অথরিটি থাকে তাহলে কি দরকার ভোট করে এত টাকা খরচ করার?
অন্যদিকে এই বিষয়ে শিশু নারী ত্রানের কর্মাধ্যক্ষ নীলা মাহাত বলেন,-আমরা টেন্ডার কাগজ দেখাতে বলেছিলাম বিডিও সাহেবকে।কিন্তু উনি কোনো কাগজ আমাদের দেখাননি।অপরন্তু বিডিও সাহেব বলেন,-আপনাদের জনসংখ্যা কম আছে আপনাদের কিছু বলা চলবে না।তার অভিযোগ,বরাবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং বিডিও তারা কর্মদক্ষদের কোন কিছু না জানিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো সমস্ত কাজ করে চলেছে।যদিও পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রতুল চন্দ্র মাহাতো।এখন এই ঘটনার রেশ কোন দিকে গিয়ে পৌঁছয় সেটাই দেখার!
আরো পড়ুন:Sujit Chakraborty:থানার ওসিকে ‘তৃণমূলের ব্লক সভাপতি’ বলে কটাক্ষ সিপিআইএম এরিয়া কমিটির সম্পাদকের