অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) জেরা করার জন্য দল তৈরি করেছে ইডি। আর এই দলের নেতৃত্ব দিতে চলেছেন আইপিএস সোনিয়া নারাং।মূলত,কেষ্টকে নিয়ে মধ্যরাতে চলে মহানাটকীয় পর্ব।বিচারকের বাড়িতে পেশ করার পর আগামী ১০ তারিখ অবধি হেফাজতে নিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।এদিকে গরু পাচারের টাকা কোথায় রয়েছে?সেবিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছে তদন্তকারী সংস্থা।

তবে কে এই সোনিয়া নারাং?জানা গিয়েছে,সোনিয়া একজন জাঁদরেল আইপিএস অফিসার। ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট। চণ্ডীগড়ের মেয়ে সোনিয়া ১৯৯৯ সালে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেন। সমাজবিজ্ঞানে স্বর্ণপদক রয়েছে তাঁর। সোনিয়ার অনুপ্রেরণা তাঁর বাবা এএন নারং। অবসর গ্রহণের সময় তিনি ছিলেন ডেপুটি সুপার। বাবাকে দেখেই আইপিএস হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু সোনিয়ার। পুলিশ কর্তাদের হাতে সমাজ বদলানোর যে শক্তি রয়েছে তা আকৃষ্ট করেছিল চণ্ডীগড়ের আয়রন লেডিকে। সমাজের চোখে পুলিশ কর্তাদের সম্মান তাঁকে শক্তি জুগিয়েছিল। তাই উচ্চমাধ্যমিক দিয়েই শুরু হয়ে যায় তাঁর আইপিএস হওয়ার প্রস্তুতি।

২০০৪ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরেই তাঁকে পাঠানো হয় কর্ণাটকের গুলবার্গে।অপরাধমূলক কাজের জন্য কুখ্যাত ছিল এই জেলা।সেখানে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব শক্ত হাতে সামলেছিলেন ২৫ বছরের অফিসার।যা পুলিশ মহলের প্রশংসা কোড়ায়।এর ঠিক দুই বছর পর ২০০৬ সালে দাভাঙ্গিড়িতে পাঠানো হয় তাঁকে। সেই সময় বিজেপি বিধায়ক এমপি. রেণুকাচারিয়াকে থাপ্পড় মারার জন্য শিরোনামে উঠে আসেন এই লেডি অফিসার।সেদিন বিরোধী এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে বিবাদ বেঁধেছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই বিধায়ককে সরতে বলেন সোনিায়া। তিনি রাজি হননি। তার পরেই তাঁকে থাপ্পড় মেরে গাড়িতে বসিয়েছিলেন এই জেদি আইপিএস অফিসার।এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় উঠলেও, তাঁর সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন নেটিজেনরা।এই ঘটনার পর গোটা দেশে চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছিলেন আয়রন লেডি।এবার সেই দুঁদে অফিসারের মুখোমুখি হতে পারেন অনুব্রত।

 

আরো পড়ুন:Chiranjeet Chakraborty: আবারও চিরঞ্জিতের কটাক্ষের মুখে প্রসেনজিৎ