রাজ্য রাজনীতিতে ডিএ (DA) বা মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে তাপ উত্তাপ ক্রমশই বাড়ছে।কেন্দ্রীয় সরকারের হারে ডিএ (DA) বা মহার্ঘ্য ভাতা দিতে হবে এমনই দাবি তুলে আন্দোলন শুরু করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের(West Bengal State Government Employee) একাংশ। সেই আন্দোলন ও কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার দাবি প্রসঙ্গে সোমবার রাজ্য বিধানসভায় মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আমার মুন্ডু কেটে নিন, এর বেশি ডিএ পাবেন না।’এদিন সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কত চাই?কত দিলে সন্তুষ্ট হবেন ? দয়া করে আমার মুন্ডুটা কেটে নিন, তাহলে যদি আপনারা সন্তুষ্ট হন।’ এখানেই থামেননি মমতা। তিনি বলেন, ‘আমাকে যদি পছন্দ না হয় তাহলে আমার মুন্ডুটা কেটে নিন। কিন্তু এর থেকে বেশি আমার থেকে আর পাবেন না।’
মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন কথার প্রতিক্রিয়ায় আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর মুন্ডু কাটার জন্য আন্দোলন চলছে না। ন্যায্য অধিকারের দাবিতে আন্দোলন চলছে। মুখ্যমন্ত্রীকে মনে রাখতে হবে ২০১০ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগের বছর তিনি কী বলেছিলেন। যে মুখ দিয়ে উনি কথা বলেছিলেন, সেই কথা তো ওঁকে রাখতেই হবে।’
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, সীমাবদ্ধ আর্থিক ক্ষমতার মধ্যে দিয়ে রাজ্য সরকারকে চলতে হচ্ছে। তারপরেও ৩ শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক অবরোধ নিয়েও এদিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির তুলনা টেনে বলেন, ”দেশের কোনও রাজ্য এখন অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন দেয় না। আমরা দিই। তাহলে কি পেনশন বন্ধ করে দেব?’ মুখ্যমন্ত্রী এই প্রশ্নও তোলেন, ‘পেনশন না দিলে রাজ্য সরকারের হাতে অনেক অনেক টাকা থাকবে। সেক্ষেত্রে ডিএ দিতে পারব।’
মুখ্যমন্ত্রীর বক্ত্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীরাও। এক আন্দোলনকারী বলেন, ২০১৬ সাল থেকে ষষ্ঠ বেতন কমিশন লাগু হয়েছে। এই সাত বছরে ৬ শতাংশ করে ডিএ বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা দেশে যেখানে ৪২ শতাংশ ডিএ দেওয়া হচ্ছে। উনি আইনের কথা না বলে অন্য যুক্তি দেখাচ্ছেন। অপর এক পেনশনভোগী কর্মচারী বলেন, পেনশনের টাকা রাজ্য সরকার দেয় না। এজি-র মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার দেয়। এখানে ওঁর ক্রেডিট নেই। এসব কথা বলে উনি মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।
আরো পড়ুন:UP Encounter:বিধায়ক খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর হত্যাকারীকে এনকাউন্টারে মারল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ