লক্ষীবারে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক জটু লাহিড়ি (Jotu Lahiri)।আজ সকালে শিবপুরের অম্বিকা কুণ্ডু বাই লেনে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।জানা গিয়েছে,মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

বহুদিন ধরেই আইসিইউ-তে ছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের শুরু থেকেই তাঁর শারীরিক সমস্যাগুলির চিকিত্‍সা চলছিল বাড়িতেই।বিধায়কের পরিবার সূত্রে খবর, গতবছর বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন জটুবাবু। তার পর থেকেই বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। স্ত্রী আগেই মারা গিয়েছিলেন। এখন তাঁর পরিবারে রইলেন এক ছেলে, এক মেয়ে ও নাতনি।

হাওড়ার শিবপুরের (Shibpur) বিধায়ক ছিলেন প্রবীণ জটু লাহিড়ি। প্রথম কংগ্রেসের (Congress)হাত ধরে রাজনৈতিক জীবন শুরু করলেও পরে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) তৈরির পর তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সৈনিক হন। ১৯৯১ সালে প্রথম শিবপুর কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস বিধায়ক হন জটু লাহিড়ি। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরও একই কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছিল। তৃণমূলের হয়ে মোট ৪ বার জিতেছেন তিনি।

১৯৯১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে পাঁচবারের বিধায়ক ছিলেন জটু লাহিড়ি।মাঝে ২০০৬ সালে হেরে যান। হাওড়া পুরসভার ৪৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (Councilor)ছিলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু টিকিট পাননি। তারপর থেকে রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরে সরে গিয়েছিলেন। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থও হয়ে পড়েন। কিছুদিন আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান বর্ষীয়ান বিধায়ক। আজ সকালে হাওড়ার অম্বিকা কুণ্ডু লেনে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যু সংবাদ শুনে জেলার তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক অরূপ রায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা ছিলাম, শ্রদ্ধা করি। ওঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।’

 

আরো পড়ুন:Ankush-Oindrilla: প্রায় ১৩ বছর প্রেম করার পরেও কেনো বিয়ে করছেন না অঙ্কুশ ও ঐন্দ্রিলা?